প্রধান মেনু

১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ হয়েছে, ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান — নৌপরিবহন মন্ত্রী

নৌপথ খননের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক ড্রেজার সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বড় পরিসরে  ড্রেজার বহর পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সাতটি ড্রেজার বেইজ সংস্কার ও নির্মাণ করতে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জস্থ খানপুরে স্বল্প পরিসরে নির্মিত ড্রেজার বেইজ অফিস ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো আধুনিকায়ন করা হবে। এছাড়া বরিশাল, মাদারীপুর,  মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মোংলার রামপাল, জামালপুর ও মানিকগঞ্জের আরিচায় ড্রেজার বেইজ অফিস নির্মিত হবে। ‘২০টি ড্রেজারসহ সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামাদি সংগ্রহ’ প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জস্থ খানপুর ড্রেজার বেইজ এলাকায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

২০১৯ সালের জুলাইয়ে খানপুর ড্রেজার বেইজ এলাকায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান গতকাল নারায়ণগঞ্জের খানপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেইজ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর  স্থাপন অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বিগত সরকারগুলোর অযত্ম ও অবহেলায় ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথ, যা বর্ষাকালে এসে দাঁড়ায় ছয় হাজার কিলোমিটারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নৌপথ উদ্ধার ও সচল রাখার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসুচি গ্রহণ করেছে। সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩টি নৌপথ খনন প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে ২ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নদী তীর অবৈধ দখলদারের হাত থেকে রক্ষা  করতে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। শাজাহান খান বলেন, নৌপথ খননের জন্য ড্রেজার প্রয়োজন। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নৌপথ খননের লক্ষ্যে ড্রেজার সংগ্রহে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে সংগৃহিত সাতটি ড্রেজার দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গত মেয়াদে (২০০৯-২০১৪) ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। বর্তমান মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলানাথ দে, জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ও বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আউয়াল।