.‘হাথুরুসিংহেকে স্যালুট, তবে কাজ করেছে ক্রিকেটাররাই’: মাশরাফি
কাগজে-কলমে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল কোচদের একজন চন্দিকা হাথুরুসিংহে। মাঠের ক্রিকেটে হাথুরুসিংহে পরবর্তী অধ্যায় শুরুর আগের দিন মাশরাফি বিন মুর্তজা ফিরে তাকালেন পেছনে। সাফল্যের কৃতিত্ব সাবেক কোচকে যেমন দিচ্ছেন, ওয়ানডে অধিনায়ক তেমনি বড় কৃতিত্ব দিচ্ছেন দলের ক্রিকেটারদের।বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরেকটি নতুন শুরু বলেই শুধু নয়, হাথুরুসিংহের সময়টায় পেছনে ফিরে তাকানোর অন্যতম কারণ এই সময়ে বাংলাদেশে তার উপস্থিতিও। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে এসেছেন শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন বাংলাদেশ অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনে আলো ফেলা হলো আগের কোচের সময় সাফল্যের অধ্যায়গুলোতে।সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে দল ওয়ানডেতে।
সাফল্যের পুরো পথচলায় অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। কোচকে কৃতিত্ব দিতে তার কাপর্ণ্য নেই।“বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে যারা আছে, তারা অনেক বড় মানসিকতার। ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে আমি হাথুরুসিংহকে স্যালুট জানাই। অবশ্যই তার কোচিংয়ে খেলে আমরা ভালো ফল পেয়েছি। কৃতিত্ব তাকে দিতে আমাদের বিন্দুমাত্র সংকোচ নেই।”তবে আলোকিত সেই অধ্যায়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল যে ক্রিকেটারদেরই, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন অধিনায়ক।“এমন নয় যে তাকে (হাথুরুসিংহেকে) কৃতিত্ব দিতে চাই না। আবার আমাদের বলতে হবে, ২২ গজে কাজটা আমরা করেছি। আমাদের তামিমের রেকর্ড, মুশফিকের রেকর্ড যদি দেখেন, সাকিবের প্রায় পুরো ক্যারিয়ার যদি দেখেন, মুস্তাফিজ এসেছে, এগুলো যদি আলাদা করে দেখেনৃ ২২ গজে কোচ তাদেরকে বিশেষ কিছু করে দেয়নি। চূড়ান্ত চাপটা ক্রিকেটারদেরই নিতে হয়েছে। তারা নিজেদের মতো করে নিয়েছে।”
“মাহমুদউল্লাহ যখন একশ করে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে, তখন মনে হয় না কেউ ওখানে গিয়ে তাদেরকে আলাদা করে ধরে খেলিয়ে দিয়েআসছে। সে তার সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করেছে। আমি যেটা মনে করি, কোচ যে-ই থাকুক, তাকে আমরা খেলোয়াড়রাও তাকে শতভাগ সমর্থন দিয়েছি। সেটি বলতেই হবে। কৃতিত্ব ছেলেদের দিতে হবে যেভাবে তারা খেলেছে।”অধিনায়ক জানালেন, এখনকার কোচিং স্টাফের সঙ্গেও ক্রিকেটারদের রসায়নটা একই।“আমার বিশ্বাস, এখন যারা কোচিং স্টাফ আছেন, হ্যালসল, সুজন ভাই আছেন, আমরা উনাদেরও শতভাগ সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করব। উনারাও শতভাগ আমাদের পাশে আছেন। অবশ্যই পেশাদারিত্ব দেখিয়ে সবকিছু চলবে। এবং চলছেও। হাথুরুর জন্য শুভকামনা। তবে আমরা আমাদেরটা নিয়ে বেশি চিন্তা করছি।”