হাতীবান্ধার বন্যায় ২ হাজার ৪ শ’ ২২ পরিবার পানিবন্দি
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রিকো,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এবারের বন্যায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪ শত ২২ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তা নদীর পানির তোড়ে উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের পাঠান বাড়ি যাতায়াতের সড়কের কালভার্টটির দুই কোনা ভেঙ্গে নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেলেও বর্তমানে পানি বিপদ সীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
কিন্তু ভারতের গজল ডোবা নদীর পানি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তিস্তা নদীর পানি উঠা নামা করায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় গড্ডিমারী ইউনিয়নে ৫ শ’৩২ পরিবার,সিংগীমারী ইউনিয়নে ৩শ’৩৫, সিন্দুর্না ইউনিয়নে ৪শ’৪৮, পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে ৩শ’১৪ ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৪শ’৭১, সানিয়াজানে ৩শ’২২ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে সিংগীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুবনী গ্রামের ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাটি মেরামত না হওয়ায় ওই এলাকার লোকজন সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, ইউএনও আমিনুল ইসলাম ও পিআইও ফেরদৌস আহম্মেদ। এ প্রসঙ্গে পিআইও ফেরদৌস আহম্মেদ বলেন,এ পর্যন্ত হাতীবান্ধা উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকার লোকজনের জন্য ১৫ মেট্রিক চাল বরাদ্দ হয়েছে।