প্রধান মেনু

হরিনাকুন্ডুতে কৃষি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে লেজার ম্যাশিং দিয়ে বালু উত্তোলন হুমকি

ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার শ্রীপুর ও নারায়নখান্দি গ্রামের মাঝে বেলে পাড়া নামক স্থান থেকে কৃষি নীতি উপেক্ষা করে লেজার ম্যাশিং ব্যবহার করে ভূগর্ভে গভীর খাঁদ সৃষ্টি করে বালু উত্তোলন করছে অতি মুনাফা লোভী কিছু লোক জন্য। তার ফলে এখন হুমকির মুখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিকে প্রকল্পের আলমডাঙ্গা পানি সরবরাহের প্রধান খাল সহ আরও দুইটি সাইড খাল। সেই সাথে খাদের মধ্যে গাছ পালা সহ ভেঙ্গে পড়ছে পাশের কৃষি জমি ও জমিতে বেড়ে উঠা গাছ পালা। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকা দেখতে গেলে দেখা যায় যে বালু উত্তোলনের ফলে প্রায় ৫০ বিঘা আবাদি জমি জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে কৃত্তিম বিশাল জলা ভুমি। এই জলাভুমির মধ্যে লেজার ম্যাশিং বাসিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে লক্ষ লক্ষ বর্গফুটের বালির বিশাল পাহাড়।

সেই পাহাড় থেকে শ্রমিকেরা ট্রাক্টরের বগিতে করে নিয়ে যাচ্ছে দুরের কোথায়? গর্তের মধ্যে ভেঙ্গে পড়েছে একজনের গাছের বাগানের বেশ কয়েটি শিশু গাছ আর নদী ভাঙ্গনের মত করে মাটি ফেটে গেছে বিশাল এলাকা জুড়ে। যে কোন মুহূর্তে গর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে এই গাছ গুলি। তাহা ছাড়া ডসে পড়েছে সারি সারি বাঁশের ঝাড়। তাহাছাড়া জেকে প্রকল্পের খাল বন্ধ করে পাড় কেটে রাস্তা বানিয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী করে তুলেছে দুইটি সাইড খাল। সাইড খাল ও জিকে প্রকল্পের মেইন খালের মাঝ খান থেকে এমন ভাবে বালু উত্তোলন করা হয়েছে তাতে শুকনা মৌসুমে পানি ছাড়লে এই খালের বাউরী ভেঙ্গে পানির অভাবে বিনষ্ট হতে পারে হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি।

একটি সাইড খালের পাশ থেকে এমন ভাবে বালি তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১০০ মিটার খালের বাউরীর গাছ পালা সহ ভেঙ্গে পড়ার আশু সম্ভবনা। এই জাইগা গুলি থেকে এতই গভীর করে বালু তোলা হচ্ছে যে যুগ যুগ পার হয়ে গেলেও এই জমি আর ব্যবহারের উপযোগী হবে না। এই ভাবেই চলছে জৈব বৈচিত্র ধ্বংস। স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, শ্রীপুর এবং নারায়ন কান্দি গ্রামের সাবেক মেম্বর আখতার ও আলমগীর, ভুক্ট, ইউনুছ, হজরত এই স্থান থেকে বালু তোলে। তারা জানায় গভীর গর্ত করে বালি তোলার পর যখন জমি ভেঙ্গে যায় তখন কম দামে তারা নিয়ে নেয় এই ভাবেই আমারা হারাচ্ছি আবাদি জমি চিরকালের জন্য।

আমাদের জমি হারায়ে গেলে আমারা কি খাব বলে সাংবাদিক দের নিকট প্রশ্ন ছুড়ে দেন। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন ও আলমগীর মেম্বরের সাথে কথা বললে তিনারা জানান, যে আমারা লেজার দিয়ে বালু তুলে ভুল করেছি বুঝতে পারিনি এরপর আর এখান থেকে বালু তুলব না বলে জানান। হরিনাকুন্ডু উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ হোসাইন মিয়া বলে যে জিকে প্রকল্পের ঐ অংশ চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে আমাদের নয়। হরিনাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই প্রসঙ্গে বলেন সে জানে না। যদি এমন ভাবে কেউ বালু তুলে পরিবেশ ও আবাদি জমি নষ্ট করে তাহলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।