প্রধান মেনু

স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য দেশের সকল নৃগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিকের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন—-ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন): ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত সংশ্লিষ্ট আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এখন অনেক কমে এসেছে।

আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ১৬৯তম মহান সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসকে সামনে রেখে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এ কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানেই বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিটি জাতীয় নীতিমালায় দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাল যার জলা তার’ বঙ্গবন্ধুর এই নীতিকে সামনে রেখে আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জলমহাল ইজারার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তা জলমহাল নীতিমালায় সংযুক্ত করার ব্যাপারে চিন্তা করছি। এছাড়া সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিক সমাজের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবির আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর উপস্থাপন করা হবে।

ভারত গণরাজ্যের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কথা উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, তাঁর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার ঘটনা বিশ্বে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর জন্য এক মর্যাদাকর অধ্যায়। ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহ ভারতে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে এবং ভারতবর্ষের জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিল বলে ভূমিমন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন।

ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য দেশের সকল নৃগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিকের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিয়াউর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, ভারতের সাঁওতাল পরগনা ফিল্ম এন্ড আর্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্লেস ইমানুয়েল ট্রুডো প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি হিংগু মুরমু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৯তম বার্ষিকী। ১৮৫৫-৫৬ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভগনাডিহি গ্রামে দুই ভাই বীর সিধু মুরমু ও কানু মুরমুর নেতৃত্বে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে এ বিদ্রোহ হয়েছিল। ইতিহাসে এটি সাঁওতালি ‘হুল’ বা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।