স্মার্ট নাগরিক গড়ার প্রত্যয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষাক্রমে অন্যতম সংযোজন ভূমি বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান

ঢাকা, ২৮ বৈশাখ (১১ মে): স্কুল জীবন থেকেই শিক্ষার্থীদের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও জরিপের মৌলিক বিষয়াদি সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব ছিল বিভিন্ন সচেতন মহল ও অভিভাবকের পক্ষ থেকে। যুক্তিটি ছিল, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সকল নাগরিকের ভূমির সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আবার, প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর ক্রয় কিংবা উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হবার সময় দেখা যায় বেশিরভাগের মানুষেরই ভূমি ব্যবস্থাপনার মৌলিক বিষয়েও ন্যূনতম ধারণা থাকে না।
এই প্রেক্ষাপটে ভূমি মন্ত্রণালয় জনসাধারণের প্রস্তাবটি গুরুত্বের সাথে নিয়ে ২০১৮ সালে মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সাথে একটি কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক প্রস্তাব পাঠায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি পরবর্তীতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এ পাঠানো হয় ২০১৯ সালে। সবশেষে, ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হওয়া নবম শ্রেণির ‘জীবন ও জীবিকা’ পাঠ্যবইয়ে ভূমি ব্যবস্থাপনার মৌলিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করে এনসিটিবি।
সম্প্রতি নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ভূমি শিক্ষার কথা উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ভূমি ভবনে এক আলোচনার সময় বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি স্কুল শিক্ষার্থীদের এ ধরনের মৌলিক ভূমি জ্ঞান প্রদান একটি অধিকতর অবহিত ও সচেতন স্মার্ট সমাজ গঠনে অবদান রাখবে। তিনি আরো বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়েই তরুণদের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সর্বোপরি ক্যাডাস্ট্রে-এর ধারণার সাথে সাধারণ পরিচিত ঘটলে, তাঁদের তা দায়িত্বশীল স্মার্ট নাগরিক হিসাবে সচেতন ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ এবং জীবনে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনাকে বেগবান করবে বিষয়টি – তিনি এসময় যোগ করেন।
উল্লেখ্য, জীবন ও জীবিকা পাঠ্যপুস্তকের ‘আর্থিক ভাবনা’ শীর্ষক প্রথম অধ্যায়ে মূলত জমি কিংবা ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে যেসব বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকতে হয় সে প্রত্যয় দিয়ে এর আওতায় ভূমি বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।