প্রধান মেনু

স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে—-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ৬ ভাদ্র (২১ আগস্ট): যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তাদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশে ও বিদেশে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারাই পরিকল্পিতভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এখনও তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান স্টাইলের একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য তৎপর। এরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন দেশে ভুল তথ্য প্রচার করছে, বাংলাদেশ সরকার সম্পর্কে খারাপ ধারণা দিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল ভিত্তি রচনাকারী দল আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার সরকার গঠনের জন্য কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে আলাদা কিছু ভাবার অবকাশ নেই। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হবে, অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। আবার দুর্নীতিতে শীর্ষে চলে যাবে।

মন্ত্রী যোগ করেন, এখন একটি ক্রান্তিকালে শোকের মাসে আমরা আছি। এ মাস আমাদের অত্যন্ত বেদনার মাস। ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি শেখ হাসিনাকে সদলবলে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা হয়েছে, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে বোমা বিস্ফোরণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভ্যুদয়ে, দুঃসময়ে এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য কমিশন গঠনের উদ্যোগেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে বাংলাদেশের জন্ম, উত্থান, স্বাধীনতার প্রাপ্তি এবং আজকের বাংলাদেশ এ সবকিছুতেই প্রবাসীদের ভূমিকা অনন্য, অসাধারণ। আগামীতেও প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী এবং সিডনিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল শাখাওয়াৎ হোসেন। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. সিরাজুল হক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক ড. প্রদীপ রায়হান।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন মন্ত্রী।