স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রিপেমেন্ট মিটার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে — বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রিপেমেন্ট মিটার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চট্টগ্রামের ৭ লাখ গ্রাহককে প্রি-পেমেন্ট মিটারিংয়ের আওতায় আনার প্রক্রিয়া আগামী মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে। রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট উইং সৃষ্টি করে কীভাবে গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে বিদ্যুৎ সেবকদের দ্রুত কাজ করা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ ভবন থেকে চারটি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রি-পেমেন্ট মিটারিং কার্যক্রম এবং ভেন্ডিং স্টেশনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি থার্ড পার্টি ভেন্ডিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিক্রির (প্রি-পেমেন্ট মিটারিং এর কার্ড) ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, গ্রাহকদের হাতের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুতের ওভারহেড লাইনসমূহ দ্রুত ভূগর্ভস্থ করার এবং সাইবার সিকিউরিটিসহ সকল বিদ্যুৎ কেন্দ্রর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ খাতের উন্নয়নে প্রি-পেমেন্ট মিটারিং পদ্ধতি একটি আদর্শ ব্যবস্থা হতে পারে। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সকল বিতরণ সংস্থার বিদ্যুতের সিস্টেমলস হ্রাস, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, ক্রটিপূর্ণ বিলিং ব্যবস্থা পরিহারের মাধ্যমে গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন, লোড ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও জনগণের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী মনোভাব সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিদ্যমান সকল বিদ্যুৎ মিটার প্রি-পেমেন্টে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিদ্যুতের প্রাথমিক প্রাপ্যতা ও যোগান নিশ্চিত করে সরকার এখন সঞ্চালন ও বিতরণের সম্প্রসারণ ও গুণগত মানোন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী (বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল) প্রবীর কুমার সেনসহ বিউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।