প্রধান মেনু

স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয় — এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ চৈত্র (১০ এপ্রিল) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে সহজে, কম খরচে, দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা জনগণের সংখ্যার তুলনায় অপর্যাপ্ত। এ শূন্যতা পূরণে গ্রামে ছোটখাটো বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলতে গ্রাম আদালত কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ-এর টিম লিডার অড্রে মেলট। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের পরিচালক ড. কাজী আনোয়ারুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সমন্বয়ক সরদার এম  আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষকে বঞ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেজন্য সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে শহরের বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ- সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১১২ টি সেবা প্রদানের কথা থাকলেও সকল ইউনিয়ন পরিষদ যথাযথভাবে তা প্রদান করতে সক্ষম নয়। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে।

যথাযথ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করতে পারলে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও বাড়বে। উল্লেখ্য, প্রকল্প এলাকার অন্তর্ভুক্ত ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাম আদালত কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।