প্রধান মেনু

স্কুলের সম্পদ বিক্রিসহ বিভিন্ন প্রকার অভিযোগ উঠেছে সভাপতির বিরুদ্ধে

মোঃশাহআলম সিকদারঃ কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি ॥ গাজীপুরের কালিয়াকৈরের আকুলিচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রির কওে টাকা আত্মসাতের অভিুযোগ উঠেছে স্কুলের সভাপতি বেনজির আহাম্মেদের বিরুদ্ধে। এছাড়া মাঠ ভরাটের ৪০হাজার টাকার একটি বিড়াট অংশ আত্মসাতের অভিযোগসহ নারী নির্যাতনের মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় শাহআলম জানায় স্কুলের জমি থেকে সভাপতি বেনজির ৫টি গাছ কেটে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের নিকট বিক্রি করে। ৫টি গছের মুল্য প্রায় ২৫হাজার টাকা হবে বলে স্থানীয় এছাড়া স্কুলের ৩শত ফিট দৈর্ঘ্য ও প্রায় ৬ফিট প্রসস্থ্য পুরাতন বাউন্ডারী ভেঙ্গে নতুন বাউন্ডারী করা হয়।

পুরাতন ভাউন্ডারীর ভাঙ্গা ইটা, রড স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যকে না জনিয়েই সভাপতি প্রধান শিক্ষিকা নাজমা বেগমের সাথে যোগসাজসে ওইগুলি সভাপতি নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছে এব্যাপারে স্কুলের সদস্য রাজ্জাক জানায় সভাপতি বেনজির স্কুলের যে কোন বিষয় নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সাথে তেমন কোন শেয়ার করেনা। স্কুলের কাজ হচ্ছে নিন্মমানের খোয়া বালি দিয়ে স্কুলের বাউন্ডারী করা হচ্ছে। নিম্মমানের কাজ করায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার কাজ বন্ধ করে দিলেও তার বাধা উপেক্ষা করে সভাপতি ওই সমস্ত মালামাল দিয়ে বাউন্ডারীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। একা একাই করে থাকে।

এব্যাপারে স্কুলের ফরিদুল ইসলাম জানায় বর্তমান সভাপতি মাঠের মাটি ভরাটের অর্ধেক টাকা,বাউন্ডারী ভাঙ্গার পরিত্যক্ত ইটা,৫টি গাছ কেটে বিক্রি বাহাদুর নামের একব্যাক্তির মালিকানা জমি জবর দখল করে রাতের আধারে স্কুলে বাউন্ডারী নির্মাম,জামাল উদ্দিনের রেকর্ডিয় জমি খাস বলে গরীবদের কাছে বিক্রি এবং তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন চেষ্টার মামলাও রয়েছে। সভাপতি হওয়ার পওে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কারও সাথে তার ভাল সম্পর্ক নেই। তিনি স্কুলের কোন কাজে কমিটির অন্যকারও প্রয়োজন মনে করা না। এব্যাপরে স্কুলের সভাপতি বেনজি আহাম্মেদ জানায় স্কুলের গাছ কেটে স্কুলের কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। বাউন্ডারীর পরিত্যক্ত ইটা তার বাড়িতে নেওয়া হয়নি।

এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা আক্তার জানায় গাছ কেটে স্কুলে টেবিল চেয়ার বানানো হচ্ছে,টিআরএর ৪০হাজার টাকা দিয়ে স্কুলের মাঠে ৪গাড়ি বালি ফালানো হয়েছে এবং পুরাতন বাউন্ডারীর পরিত্যাক্ত ইটা ও রড জমা করে রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্যের জমি জবর দখল করে বাউন্ডিারী নির্মানের বিষয়টি সভাপতি বলতে পারবে। এঘটনায় সহকারী শিক্ষা অফিসার আলমঙ্গীর হোসেন জানায় বিষয়টি জানার পর ঘটনার সত্যতা পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।যা ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার তিনিই করবেন। বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম জানান আমি মাত্র ২মাস হয়েছে যোগদান করেছে ,স্কুলের গাছ কাটা সম্পর্কে ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা মৌখিক ভাবে আমাকে বলেছে। আমি সময়ের অভাবে স্কুলে যেতে পারি নাই। মৌখিক ভাবে বিষয়টি জেনেছি। লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে স্কুলের জমি থেকে টেন্ডার ছাড়া কোন গাছ কাটার বিধান নেই।