সোনারগাঁওয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুহুল ও আলামিন এর রমরমা মাদক ব্যবসা।প্রশাসন এর হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসির।
সোনারগাঁ প্রতিনিধি : সোনারগাঁওয়ে জামপুর ইউনিয়নে রুহুল আমিনের নিয়ন্ত্রনে এখন চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা যার এক মাত্র কাজ ছিল আদম ব্যবসা করে সাধারন মানুষ ঠকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্বসমর্পন করাই ছিল যার পেশা। মাদক বিরোধী,জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে মিলে নিজ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করে এখন সে মাদক দ্রব্য ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা ও সচেতন মহল মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করতে সমাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলে জামপুর ইউনিয়ন। এলাকার প্রায় ১০/১২টি মাদক স্পটে বেচাকেনা নিয়ন্ত্রনে করছে রুহুল।
এসব স্পটগুলোতে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে সে ও তার সহদোর। এ সুযোগ বুঝে জামপুর ইউনিয়নের বশির গাঁও গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান এর ছেলে রুহুল আমিন সিন্ডেকেট করে পুরানো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে নতুন করে বশিরগাঁও, মহজমপুর, তালতলা, রুপগন্জ,আড়াইহাজার,এলাকাসহ ৫/৬টি স্পটে একক নিয়ন্ত্রনে মাদক ব্যবসা শুরু করেছে।ইয়াবা গডফাদার রুহুল যুব সমাজ ধ্বংসের মহানায়ক, একদিকে যুব সমাজ ধ্বংসের জন্য তুলে দিচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা আর অন্য দিকে নিজের আখের গুছাতে কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না ওই রুহুল আমিন অথচ আপন ভাই আলামিন কে নিয়েই মাদক ব্যাবসায় সে সক্রিয়।
অনুসন্ধানে জানাযায়, উপজেলা জামপুর ইউনিয়নের বশিরগাঁও এলাকার মৃত ফজলুর রহমান এর ছেলে রুহুল আমিন। রুহুল আমিনের ছোট ভাই আলামিন এক সময়ের চিহিৃত মাদক ও জাল টাকার ব্যবসায়ী রাতারাতি বনে যায় বিলাস বহুল বাড়ীর মালিক ও কোটিপতি। তার ছোট ভাই আলামিন এখন সরাসরি মাদক বেচা কেনা করে আসছে তার নামে রুপগন্জ থানায় জাল টাকার মামলাসহ রয়েছে মাদকের মামলা। রুহুল তাদের পুরনো মাদক ব্যবসার অবস্থান ধরে রাখতে ব্যাবসায়ী না হয়েও সে এখন ইউনিয়ন একজন সমাজ সেবক লেবজধারী। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় দোকানদার ও এলাকাবাশী জানিয়েছে, ফজলুর রহমানের ছেলেরা কিভাবে টাকা কামাইছে তা এলাকার মানুষের অজানা নয় কিছু দিন আগেও আদম ব্যপারী ও জালটাকার ব্যাবসায় জড়িত ছিল এখন ইয়াবা ডিলার হয়ে চোঁখের আড়ালে রুহুল ও রুহুলের ভাইয়েরা কি করছে অজানা নয় কারও। ডাকাতি মাদক সহ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা।
দলীয় প্রভাবে মূখ খুলে বলার সাহস পাচ্ছে না কেউ । অবৈধ ব্যবসা করে টাকা হলেই যোগ্যতা ছাড়াই সমাজ সেবক হওয়া যায়। প্রশাসনের চাপে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকার মাদক ব্যবসা বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে কিছু দিন বশিরগাঁও এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে রয়েছিল। বর্তমানে এলাকার পুরনো ব্যবসায়ীদের ওই ব্যবসায় নামাতে বাধ্য করছে রুহুল বশির গাঁও হয়ে উটছে ইয়াবা গাঁও হিসাবে। মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক বা না করুক এলাকায় থাকতে হলে তাকে টাকা দিয়ে ইয়াবা নিতেই হবে তার কাছ থেকে। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ছেড়ে দেয়া মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রুহুলের বাকবিতান্ড চলে আসছে। অনেকেই রুহলকে টাকা দিয়ে নতুন করে এ মাদক ব্যবসা শুরু করেছে।
জামপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকার মাদক ব্যবসা প্রশাসনের চাপে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল,বর্তমানে রুহুলের নিয়ন্ত্রনে এ মাদক ব্যবসা আবারও শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও মহজমপুর এলাকার ৩/৪টি স্পটে রুহুলের একক নিয়ন্ত্রনে মাদক ব্যবসা চলে আসছে।বশিরগাঁও এলাকার মাদক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এখন আবার নতুন করে মাদক ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে এলাকাবাসী তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসন ও র্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।