প্রধান মেনু

সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা মেধা বিকাশে ভূমিকা রাখছে — শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ প্রতিযোগিতায় পশ্চাৎপদ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও সমান সুযোগ পাচ্ছে। সারাদেশে যে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এ প্রতিযোগিতায় তারা অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রায় লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এ মেধাবী শিক্ষার্থীরাই একদিন জাতিকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় এগিয়ে নিয়ে যাবে।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৭এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০১৭এর সদস্য সচিব ড. মো. শফিকুল ইসলাম তালুকদার বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী আড়ালে আছে বা কম সুযোগ পাচ্ছে, যারা অনাদরে-অবহেলায় ছিল, তারাও এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। এদের মধ্যে যারা মেধা তালিকায় উঠে এসেছে, তাদের পড়ালেখায় যাতে কোন প্রতিবন্ধকতা না আসে সেজন্য সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের ৮টি বিভাগের প্রতিটি থেকে ১২ জন করে এবং ঢাকা মহানগরীর ১২ জনসহ মোট ১০৮ জন শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ শীর্ষ ১২ জনকে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং তারা বিদেশে ভ্রমণের সুযোগ পাবে।
স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন পরিদর্শন করলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ ঢাকায় তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন পরিদর্শন করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ সারা দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদরাসায় স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনের ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মনোভাব, মূল্যবোধ ও চিন্তা-চেতনা গড়ে উঠবে। তারা অন্যের মতের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল হতে শিখবে। শিক্ষামন্ত্রী ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেন এবং নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কমিশনারদের সাথে কথা বলেন।
উল্লেখ্য যে, আজ সকাল ৯.০০টা থেকে বিকাল ২.০০টা পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগের ২২ হাজার ৯০৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৮ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে স্টুডেন্টস কেবিনেট গঠিত হবে। এবছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৭২টি পদের বিপরীতে ২ লাখ ৭১ হাজার ২৯৯ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে।