সুলতানগঞ্জ পদ্মা নদীর তীরে ব্যাপক আতংকে নদী পাড়েরর মানুষ

মোঃ মাসুদ আলম, ( গোদাগাড়ী) রাজশাহীরঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জের ঘাটের দক্ষিণে পদ্মা নদীর তীর ভাঙ্গতে শুরু করেছে। ভাঙ্গনের কারনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই এলাকার মানুষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় গোদাগাড়ী পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের সুলতানগঞ্জ ও সারাংপুরের কিছু অংশ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীর ভাঙ্গতে শুরু করে।
বাড়ীর পিছনে ছেলেদের খেলার মাঠ ছিল, মানুষের উঠাবসা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা সেখানে ছিল, কিন্তু দিন দিন পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে নদী ক্রমশ বাড়ীর দিকে এগিয়ে আসছে। ওই এলাকার মানুষদের সারা রাত আতঙ্কিত অবস্থায় ঘুমাতে হয়। গোদাগাড়ী সুলতানগঞ্জ এলাকায় রয়েছে অনেক মসজিদ, হযরত শাহ সুলতানের মাজার, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও ২টি মাদরাসা। সুলতানগঞ্জ ঘাট দিয়ে পারাপারের ঠিক দক্ষিণ দিকে পদ্মা নদীর তীরে একটু চোখ মেলে ধরলেই ভাঙ্গন চোখে পড়বে।
সরকার যদি এ নদীর পাড় বাঁধানোর ব্যবস্থা না করে তাহলে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সুলতানগঞ্জ ও সারাংপুরের কিছু অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ভাঙ্গনকবলিত নদী পাড়ের দলিল লেখক মহুরী আতাউর রহমান ও সাবেক ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল অহাবের নিকট জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন নদী দিন দিন বাড়ীর দিকে এগিয়ে চলে আসছে। ভয়ে ভয়ে দিনাতিপাত করছি।
এখন পর্যন্ত উর্ধ্বতন মহলের কেও খোঁজ খবর নেয়নি। নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের নীচের ব্লক ও ইট সরে গিয়েছে অনেক অগেই। এ মূহূর্তে নদীর তীর বাঁধা না হলে যে কোন মূহূর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে সুলতানগঞ্জ গ্রামটি।
গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়্যারম্যান ও গোদাগাড়ী যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ভাইস চেয়্যারম্যান ও গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল মালেক, গোদাগাড়ী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়্যারম্যান ও মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সুফিয়া খাতুন মিলি, গোদাগাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ওবাইদুল্লাহ মাস্টার এদের সকলের বাড়ী ওই এলাকায়। তার পরেও ৯নং ওয়ার্ডটি এত পরিমাণ অবহেলায় কেন এটি যেন কাররই বুঝে আসছে না।
জরুরী ভিত্তিতে যাতে নদীর তীর রক্ষা বাধটি বাধাই করা হয় এবং তীরবর্তী মানুষগুলো একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারে তার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।