সাহিত্য-সংস্কৃতি-মেধায় বাঙালি জাতি অনেক এগিয়ে—তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বাঙালি জাতি হিসেবে সাহিত্যে-সংস্কৃতিতে পৃথিবীর অনেকের চেয়ে এগিয়ে। এ সংস্কৃতি এতো গভীরে প্রোথিত যে, তা পৃথিবীর অনেকের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অভ বাংলাদেশ (সিজেএফবি) এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
সিজেএফবি সভাপতি তামিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সিজেএফবি’র সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ, উপদেষ্টা এনাম সরকার প্রমুখ।
ড. হাছান বলেন, ইউরোপের বাইরে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জাতি হিসেবে আমরা মেধাবী, গাছের যে প্রাণ আছে তা প্রথম প্রমাণ করেন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন ছিল যে সিয়ার্স টাওয়ার, তার স্থপতি বাঙালি এফ আর খান। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন ঢাকার মানুষ।
এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সমুন্নত রাখার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি কোনো বদ্ধ জলাশয় নয়, তা মুক্ত এবং বিভিন্ন জাতির সংস্কৃতির মিলন ঘটায়। কিন্তু বিজাতীয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ কখনো কাম্য নয়। সিজেএফবিসহ দেশের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন এবিষয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে, বলেন হাছান মাহ্মুদ।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবার পর অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি দেশের বিনোদন, শিল্পের সুরক্ষা ও প্রসারে পদক্ষেপের কথা জানান ড. হাছান। তিনি বলেন, বিধি করা হয়েছে যে, বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে দেশের বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করতে হলে শিল্পীপ্রতি কাজের জন্য ২ লাখ টাকা কর দিতে হবে, আর সে ধরনের বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশন চ্যানেলকে দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। আমাদের দেশের শিল্পীরা অনেক গুণী, প্রতিভাবান এবং তারা বিদেশি বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করতে পারেন।
দেশবরেণ্য বিনোদন সাংবাদিকবৃন্দ, অভিনয় ও মডেল শিল্পীসহ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, বালাম, মিলা প্রমুখ শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। পাশাপাশি পরিবেশিত হয় ফ্যাশন শো।