প্রধান মেনু

‘সাভারে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম’ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সভা’

ষ্টাফ রিপোর্টার:সাভারে আমিনবাজারের মীরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল এন্ড কলেজে    ‘সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সভা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্ণিংবডির সদস্যবৃন্দসহ এলাকার অন্যান্য এলিট শ্রেনীর লোকজন।আজ (১২ জুলাই) বুধবার দুপুর ২ টায় আমিনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আমিনবাজার নাগরিক সমাজের আয়োজনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদসভায় বক্তারা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতমূলক মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যসহ এলাকার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
গত ১০ জুলাই বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভূল তথ্যের প্রতিবাদ করে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও আমিনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি আকিল খন্দকার বলেন, কিছু স্বাধীনতাবিরোধী উগ্রপন্থীদের উছকানিতে তথাকথিত হাইব্রীড আওয়ামীলীগের সমন্বয়ে  মুষ্ঠিমেয় লোক নিজেদের স্বার্থ হাছিল করতে না পেরে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ন অসত্য।
তিনি বলেন নিয়োগটি এখনো সম্পন্নহয়নি, এটা প্রক্রিয়াধীন।একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া যেভাবে সম্পন্ন হওয়ার কথা এটিও ঠিক সেভাবেই হচ্ছে।নিয়োগ কমিটির প্রত্যেকের স্বাক্ষরের ভিত্তিতে প্রক্রিয়াটি চলমান।
তাহলে কেন শুধু আপনার নাম প্রত্রিকায় আসল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানে আসার পর প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু জায়গা রাঘব বোয়ালের হাত থেকে উদ্ধার করেছি যা অনেকে কল্পনাও করেনি।সঙ্গত কারনে প্রভাবশালী সে মহলের চোখের বালিতে পরিণত হয়েছি আমি।
তাই এখন তারা শুধু আমাকে নয় আমিনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত।কিন্তু সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দুঃসাহস যারাই করবে তাদেরকে জননেত্রী শেখ হাসিনা কিছুতেই ছাড় দিবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।
এদিকে ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী খন্দকার বলেন, দেশ যখন গনতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটালাইড হচ্ছে ঠিক তখনই একশ্রেণীর লোক সরকারের নিন্দায় ব্যস্ত।দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করতে হা্ইব্রীড আওয়ামীলীগদের ব্যবহার করছে তারা।এসব হাইব্রীড নেতাদের দ্রুত দলথেকে অপসারন করার কথা বলেন তিনি । এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগনেতা এ্যাড. লায়ন বশিরের কথা উল্রেখ করে তিনি বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জননেত্রীর মনোনীত নৌকা প্রতীকের নির্বাচন না করে বিদ্রোহ প্রার্থীর নির্বাচন করেছেন তিনি।তাছাড়া দলীয় কোন কর্মকান্ডে তাকে কখনও রাজপথে দেখা যায় নি। মাননীয় খাদ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে আলী খন্দকার  অনতিবিলম্বে এ্যাড লায়ন বশিরের দলীয় পদ হতে বহিষ্কারের দাবি করেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো : আব্দুর মালেক ও সভাপতি হাজী দীন মোহাম্মদের যোগসাজসে রাস্ট্রদ্রোহী মামলার আসামীকে প্রতিষ্ঠানে যথাযথ বহাল তবিয়তে রেখেছেন যেখানে একই মামলায় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ চাকরিচ্যুত হয়েছেন।

একজন রাষ্ট্রদোহী মামলার আসামী কিভাবে প্রতিষ্ঠানে এখনও বহাল তবিয়াতে আছেন এ প্রশ্ন এখন শুধু অভিভাবকদের নয়, সমস্ত এলাকাবাসীর।