প্রধান মেনু

সাভারে লি‌জেন্ড স্কু‌লে মডেল তরুণীকে ধর্ষণের অ‌ভি‌যোগ

সিরাজুল ইসলাম, সাভারঃ
‌সাভা‌রে দুই মডেল তরুণীকে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা‌টি ঘ‌টে‌ছে সাভার পৌরসভার সিটি সেন্টারের পশ্চিম ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশ স্টেশনের ৫০ গজ দূরে সোবাহানবাগ এলাকায় লিজেন্ড স্কুল ভবনের দুতলা অফিসে ।

শুক্রবার বিকালে এ ঘটনায় ধর্ষিতা তরুণী মিতু বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় ৩ জনকে আসামী করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন, সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) ও (৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, ঝিনাইদাহ জেলার সদর থানার গোসলপুর এলাকার সমশের আলী মন্ডরের ছেলে লিটন আলী মন্ডল (৩০), দিনাজপুর জেলার বিরল থানার সৈয়দপুর এলাকার সফিউল্লার ছেলে মোকারম (১৮) ও কুড়িগ্রাম জেলার ভুড়িমাড়ি থানার সখিপুর গ্রামের মতিউরের ছেলে মিজানুর রহমান (২৭)। ধর্ষক লিটন আলী মন্ডল সাভার এলাকায় কখনো ডিবি পুলিশের সদস্য আবার কথনো ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াতেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। তবে সে ডিবি পুলিশের সোর্স হিসেবেই বেশি পরিচিত। দুই তরুণী হলেন, গাজিপুরের টংগী রেলস্টেশন রোড এলাকার কোনাবাড়ির বাসিন্দা তপনের মেয়ে মিতু (২৩) ও আমির আলীর মেয়ে সুমি (২৫)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মডেলিং করানোর কথা বলে গাজীপুর থেকে ওই দুই তরুণীকে ডেকে এনে কৌশলে একটি রুমে আটক করে রাখে। পরে অফিস রুমে নিয়ে ধারালো ছুরির মুখে জিম্মি করে তাদেরকে একজনকে ধর্ষণ করে। ওই সময় অন্য তরুণীর আর্তচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী ও ডিবি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই তরুনীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ অফিসে নিয়ে যান। এ সময় অভিযুক্ত ধর্ষক লিটন আলী মণ্ডল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ত‌বে এ ঘটনায় দুজন‌কে আটক ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

আটককৃতরা হচ্ছে, লিজেন্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের দুই নিরাপত্তাকর্মী দিনাজপুর জেলার বিরল থানা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মোকারম মিয়া (১৭) ও কুড়িগ্রাম জেলার বুড়িঙ্গামারী থানা এলাকার মিজানুর রহমান (২৬)।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টায়।

ডিবি পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে গাজিপুরের কোনাবাড়ি থেকে দুই তরুণীকে মোবাইলফোনে সাভারে ডেকে নেন স্থানীয় লিটন আলী মণ্ডল নামের এক যুবক। পরে দুই তরুণীকে লিজেন্ড কলেজের অফিস রুমে নিয়ে একটি কক্ষে এক তরুণীকে আটকিয়ে রেখে আরেক তরুণীকে ধর্ষণ করে লিটন আলী মণ্ডল নামের ওই যুবক।

ভুক্তভোগী তরুণী জানায়, তিন মাস আগে লিটনের সঙ্গে ফেসবুকে ও মোবাইলফোনে পরিচয় হয়। ধর্ষণের শিকার তার বান্ধবী ও সে উত্তরার মা মিউজিক ভিশনে মডেলের কাজ করতেন।

তারা আরও জানায়, মিউজিক ভিডিওতে কাজ দেবে বলে বৃহস্পতিবার সকালে লিটন তাকে ও তার বান্ধবীকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনে।পরে বিকালে দারোয়ান মোকারম ও মিজান তাদের সাভার বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই স্কুলে নিয়ে আসে ও স্কুলে একটি কক্ষে আটক রাখে। এ ঘটনার পর থেকে ওই ছয়তলা বাড়ির মালিক কবির ও ধর্ষক লিটন পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির (ওসি) এ এফ এম সায়েদ আজ‌কের জাতীয় গো‌য়েন্দা সংবাদ‌কে বলেন ধর্ষণের শিকার তরুণী সহ দুই তরুণীকে আমরা সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করেছি।আটক দুই দারোয়ান ও লিটনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করছেন ধর্ষিতা তরুণী।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষিতা তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আসামি লিটনকে গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।