প্রধান মেনু

সাংবাদিক সেলিম রেজা অপহরণ, পুলিশের ঝটিকা অভিযান ও জনতার সহযোগীতায় দেড় ঘন্টায় উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ” জাতীয় গোয়েন্দা সংবাদ”  চুুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি ও “দৈনিক সময়ের সমীকরণ ” এবং ঝিনাইদহ  কালিগন্জ থেকে প্রকাশিত” দৈনিক নবচিত্র ” র হিজলগাড়ী প্রতিনিধি হিজলগাড়ী বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী ও হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সেলিম রেজাকে একদল দূর্বৃত্ত অপহরণ করলে সংবাদ পেয়ে জনতা-পুলিশের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় অবশেষে তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাংবাদিক সেলিম তার ব্যবসায়ীক কাজ শেষে গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে তার বড় ভাই
মিলনসহ পৃথক দুইটি মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি বাষট্টি আড়িয়ার উদেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে তারা ছোট শলুয়ার মাঠ নামক স্থানে পৌঁছালে ৪/৫জন লোক রাস্তার উপর দাড়িয়ে তাদের গতিরোধ করে এবং টর্চ লাইটের আলো দিয়ে থামতে নির্দেশ দেয়। সেলিম পুলিশ চেকিং ভেবে সেখানে তার মোটরসাইকেলের গতি শ্লথ করলে দূর্বৃত্তরা তাকে জোরপূর্বক পাশের ভূট্টা ক্ষেতের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় সেলিমের থেকে তার বড় ভাই মিলন কিছুটা পিছনের দিকে অবস্থান করছিলো। মিলন এই দৃশ্য
দেখে তার মোটরসাইকেলের গতি পরিবর্তন করে চিৎকার দিয়ে আশপাশের লোকজনকে এই ঘটনার জানান দেয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে হিজলগাড়ী ফাঁড়ি ও জেলা পুলিশসহ স্থানীয়দের ঘটনাটি অবহিত করেন। সেলিম অপহরণের এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে
পড়ে চারিদিক। সেলিমকে উদ্ধারে চলতে থাকে
জনতা-পুলিশের যৌথ তল্লাশি উদ্ধার অভিযান।
এরইমধ্যে প্রতিনিধি সেলিম অপহরণের দুঃসংবাদ জানিয়ে তাকে উদ্ধারে প্রশাসনিক সহযোগীতা চেয়ে একের পর এক ফোন আসতে থাকে দৈনিক সময়ের সমীকরণ অফিসে। দৈনিক সময়ের সমীকরণথেকে সেলিমকে উদ্ধারে সহযোগীতা চেয়ে যোগাযোগ করা হয় জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সাথে। তিনি জানান, অপহরণের সংবাদ আমরা জেনেছি।
অপহৃত সেলিমকে উদ্ধারে ইতোমধ্যেই পুলিশী
তল্লাশি শুরু হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত তাকে উদ্ধারে পুলিশ সফল হবে।
পুলিশের ঝটিকা অভিযান ও এলাকাবাসীর
ঐকান্তিক সহযোগীতায় অপহরণের শ্বাসরুদ্ধকর দেড় ঘন্টার উদ্ধার অভিযানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপহরণকারীদের কবল থেকে উদ্ধার হয় সেলিম। অপহৃত সেলিম জানান, অপহরণকারীরা সংখ্যায়
৪/৫জন ছিলো। তারা ২০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে আমার বাড়িতে ফোন দিতে বলে। এরমধ্যে পুলিশের বাঁশির আওয়াজ ও টর্চ লাইটের আলোয় অপহরণকারীদের কাছাকাছি পৌঁছালে তারা আমাকে ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনা তদন্ত করা হবে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের
আওতায় আনা হবে। দৈনিক সময়ের সমীকরণ
হিজলগাড়ী প্রতিনিধি সেলিম রেজাকে উদ্ধারে
দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ
বেলায়েত হোসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া সকল পুলিশ সদস্য ও জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে দৈনিক সময়ের সমীকরণ পরিবারসহ জেলা সাংবাদিকবৃন্দএবং জাতীয় গোয়েন্দা সংবাদের সম্পাদক এ, কে, এম মতিউর রহমান , নির্বাহী সম্পাদক ডাঃ নিরু ফরিদ । উক্ত ঘটনার পুনঃআবৃতি যেন না হয় সেজন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।