প্রধান মেনু

সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও কর্মমুখী করতে চায় —শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার ওপর আমাদের জাতির অস্তিত্ব নির্ভরশীল। যেভাবে বিশ্ব এগিয়ে চলেছে, আমরা যদি সেভাবে শিক্ষিত না হই, তাহলে আমরা অনেক পিছিয়ে যাবো। তাই আমি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে, বিশেষ করে, শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের শিক্ষার উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানাই। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে বদ্ধপরিকর। শিক্ষার মান উন্নয়নে, যুগোপযোগী ও কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও সংযোজন করতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। মন্ত্রী আজ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার থানায় সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি অ্যান্ড উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও ডি. কে. সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী এন্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের আয়োজনে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলন ২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কলকাতার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম আব্দুস সোবহান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন রশীদ খান, সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম। মন্ত্রী বলেন, আজকের এই আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলনের মাধ্যমে যে সকল সুপারিশ আসবে তা বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক থাকবে। তিনি আরো বলেন, একটি জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে তাঁর শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর।

যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সোনার দেশ গড়তে সোনার মানুষ চাই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষাই মানব সম্পদ উন্নয়নের চাবিকাঠি।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত দশ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে কাজ করার। সরকার শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণাধর্মী শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছে। গবেষণাকে উৎসাহিত করতে সরকার বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ প্রবর্তন করেছে। অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক শিক্ষা এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।