সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী—-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই): মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দেশে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যাপক সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে তথ্যনির্ভর সমাজ গঠনের পথ এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, লালন ও পরিচর্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে বার্তা প্রবাহের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রসারের মাধ্যমেই গণতন্ত্র সুসংহত হয় এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চায় এবং দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরা নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করলে গণমাধ্যম কার্যকর হয়ে ওঠে। তিনি আরো বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা সরকারকে শক্তিশালী করে। তবে, অপপ্রচার বন্ধেও সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
মন্ত্রী বলেন, এদেশের গণমাধ্যম দেশ ও জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় সাহসী, নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় বার্তা প্রবাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
বার্তা প্রবাহের সম্পাদক মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মোঃ সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দ্য সাউথ এশিয়ান টাইমস এর সম্পাদক দীপক কুমার আচার্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ বক্তৃতা করে।