প্রধান মেনু

সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট) : সংবাদ পর্যালোচনার দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় বাংলাদেশের এক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সম্প্রতি ২৪ আগস্ট ২০২৩  প্রকাশিত ‘কুতুব অধ্যায়ের পর আলোচনায় পনির, ভূমি মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন ভূমি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়। উল্লিখিত প্রতিবেদনে যা দাবি করা হয়েছে তা সত্য নয় বলে প্রতীয়মান হয়। এজন্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সমুন্নত রাখার স্বার্থে উপরোক্ত সংবাদ নিবন্ধে উল্লিখিত বিষয়বস্তুর ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া যুক্তিসঙ্গত বলে ভূমি মন্ত্রণালয় মনে করে।

প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন এবং নলেজ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রীধারী একজন উচ্চমানের পেশাদার প্রশিক্ষক ড. মো. জাহিদ হোসেন পনির ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভূমি মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এ কর্মকর্তার কাজের দক্ষতা ও সুনামের কারণে তৎকালীন ভূমি সচিব তাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইজেশন, নলেজ ম্যানেজমেন্ট ও পারফরমেন্স (ডিকেএমপি) অনুবিভাগের দায়িত্ব প্রদান করেন। ডিকেএমপি অনুবিভাগ সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর আওতাভুক্ত ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরাসরি সমন্বয়ের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ দিকনির্দেশনায় যুগ্ম সচিব ড. মোঃ জাহিদ হোসেন পনির-এর তত্ত্বাবধানে ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের সার্বিক সমন্বয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল সেবা প্রদানে সারাদেশে কর্মরত প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য অংশীজনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রশিক্ষণেও যুগান্তকারী ও গুণগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। ডিজিটাল ভূমিসেবা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের ডিজিটাল ভূমিসেবা বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং প্রেষণা প্রদানের লক্ষ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স¥ারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে এ কর্মকর্তার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে।

পরিসেবা কাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। তবে এই প্রশিক্ষণের অংশ সেমিনার/সিম্পেজিয়াম/ওয়ার্কশপের নামে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ সংশ্লিষ্ট সংবাদে উল্লিখিত অভিযোগ পুরোপুরি অবাস্তব বলে প্রতীয়মান। কারণ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় অংশে সেমিনার/সিম্পেজিয়াম/ওয়ার্কশপের জন্য বরাদ্দই ছিল মাত্র ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, এর মধ্যে কেবল ৬ লাখ ২৭ হাজার ৭৬০ টাকা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ খাতে ব্যয় হয়।

ভূমি মন্ত্রণালয় মনে করে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ বিষয়ের সংবাদে প্রকাশিত কথিত অভিযোগ বাস্তবতাবর্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এছাড়া, প্রতিবেদনে বিকৃত ছবি ব্যবহার করা এবং দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আলোচিত ব্যক্তির সাথে তুলনা করে কৃত সংবাদ শিরোনামটি সাংবাদিকতার নৈতিকতা এবং মানদণ্ডের সাথে সাংঘর্ষিক।

উপরন্তু, উল্লিখিত সংবাদ প্রকাশের পূর্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের তদসংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য গ্রহণও সমীচীন ছিল, যা করা হয়নি। এ ধরণের কোনো সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে উত্তম চর্চা ও পেশাদার সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী গণমাধ্যম সর্বদা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয় মর্মে ভূমি মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।