প্রধান মেনু

সদরপুরের জমিদার বাড়িতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মিলন মেলা নাচগান খেলাধূলায় সারাদিন ছিল মূখরিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের ঐতিহাসিক বাইশরশি জমিদার বাড়িতে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্দ্যেগে বার্ষিক বনভোজন ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার দিনব্যপী নাচে-গানে ও খেলাধূলায় ছিল উৎসবমূখর পরিবেশ। জেলার ৯টি উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদভারে একটু হলেও সার্থক হয়েছে উক্ত ঐতিহাসিক জমিদার বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ স্থাপনার ঐতিহাসিক স্থানের। এ যেন অন্যরকম এক মিলনমেলা।

যারা দেখেছে, উপভোগ ও খেলাধূলায় অংশ গ্রহন করেছে, তারা ছাড়া অন্যান্যদের বর্নানা দেয়াও কষ্ঠসাধ্য ব্যাপার। জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে ৯টি উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পরিবারবর্গ বিনোদন উপভোগ করার জন্য বেছে নিয়েছে এই স্থানটিকে। এক কালে জেলার প্রভাবশালি এই জমিদার বাড়ি থেকে ২৩ টি পরগুনা মহলের জমিদারী পরিচালনা করা হতো। ঐ সময় প্রায় ৩০ একর জমির উপর বাগানবাড়ি, ৫টি সান বাধানো পুকুর, ১৪টি দ্বিতল ভবনের অট্রালিকা, পূজামন্ডপ, গদিঘর মিলে সুন্দর সাজানো-গোছানো বাড়িটি ছিল পর্যটকদের মনকাড়ার যোগ্য দর্শনীয় স্থান।

ধ্বংশের পথে আজ শুধু কালের স্বাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে জমিদার বাড়িটি। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার বর্গ ও আত্মীয় স্বজনরা আনন্দ উপভোগ করেছিল সকলে মিলেমিশে। সকাল ১০টায় সবার উপস্থিতি ঘটে জমিদার বাড়িতে। কেউ ইচ্ছামতো খেলার ভ্যানু বেছে নেয়। কেউ ছোটবেলার গোল্লাছুট, কানামাছি ভো-ভো, ভলিবল, ক্রিকেট, অন্ধের হাড়িভাঙ্গা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এছাড়াও লাকি কূপনের ব্যবস্থা করা হয়।

এ যেন এক আপনজনদের মিলন মেলার প্রতিযোগীতা। বিকেলে বিভিন্ন খেলায় অংশ গ্রহণকারি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোকলেসুর রহমান সরকার । অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার। বনভোজন শেষে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদকে পুরস্কার বিতরণ করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোকলেসুর রহমান সরকার।