প্রধান মেনু

সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল কানেকটিভিটি নিশ্চিত করা হবে — টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ আষাঢ় (১ জুলাই): দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে মানব সম্পদে পরিণত করতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য। শিক্ষার জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন কানেকটিভিটি নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ক্লাস ডিজিটাল করার বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে ৫শত ৮৭টি প্রতিষ্ঠানে ফ্রিওয়াইফাই জোন বাস্তবায়ন হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রিওয়াইফাই জোন সৃষ্টির পাশাপাশি বিটিসিএল এবং টেলিটকের প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। হাওর, দ্বীপ কিংবা চরাঞ্চলসহ দেশের যে কোনো দুর্গম এলাকা ডিজিটাল সংযুক্তি থেকে বাদ যাবে না।

মন্ত্রী নেত্রকোণা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুজিববর্ষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও সেবার মানোন্নয়ন শীর্ষক “অনুষ্ঠানে জুম কনফারেন্সিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আগামী দিনে ডিজিটাল প্রযুক্তি ছাড়া জীবনযাপন অকল্পনীয়। আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রত্যেককেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ জানতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য কেবল আগ্রহ থাকলেই যে কারো পক্ষে প্রযুক্তি আয়ত্ত করা সম্ভব।

বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে করোনাকালে মনে হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে জীবনযাত্রা সচল থাকতো না। এটি এখন শ্বাস প্রশ্বাসের মতোই অপরিহার্য। অফিস হচ্ছে এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজের মন্ত্রণালয়ের দশটি প্রতিষ্ঠানে অন লাইনে তদারকি করতে পারছি। সবাই করছে। এদেশের ছেলেরা অ্যাপ তৈরি করছে। মোট কথা দেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে। বিদেশীরাও আমাদের কাছে প্রযুক্তি চাচ্ছে, আমাদের অনুসরণ করছে। বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো সবার হাতে প্রযুক্তি পৌঁছানো। আমরা ইতোমধ্যে সে কাজটিও সম্পন্ন করেছি। ইতোমধ্যেই ২০২১ সালে ৫জি প্রযুক্তি দুনিয়ায় যাত্রা শুরু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান শেফালি, পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী, নেত্রকোণা প্রেসক্লাব সভাপতি এবং জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক প্রতিনিধিগণ বক্তৃতা করেন।