শৈলকুপায় প্রধান শিক্ষিকার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত: সাত শিক্ষক কর্মচারীর বিরুদ্ধে শ্লিতাহানীর মামলা
শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ২৩মে ২০১৯ঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দিলারা ইয়াসমিন জোর্য়াদ্দার ডলি এবার নিজ বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষক কর্মচারীর বিরুদ্ধে শ্লিলতাহানীর অভিযোগে মামলা করে আবারো আলোচনায় এসেছেন। বুধবার ঝিনাইদহের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি এই মামলা করেন, যার মামলা নং ১৩১/১৯। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শৈলকুপার এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান, শিক্ষক রবিউল ইসলাম, ইমরান খান, লাইব্রেরিয়ান হোসনে আরা পারভিন, পিয়ন সাইদুল ইসলাম, কেরানী আবুল কালাম আজাদ ও চায়না আফরোজ। বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন আসামীরা স্কুল থেকে তাকে তাড়ানোর জন্য নানা ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার ও হত্যার হুমকী দিয়ে আসছে। তার স্কুল পড়ুয়া কন্যাদের কোচিং ও স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। অভিযোগে বলা হয় গত ১৬ মে দপ্তরে বসে কাজ করার সময় আসামীরা রুমের ভিতর ঢুকে স্কুল ত্যাগ করতে বলেন।
প্রধান শিক্ষিকা দিলারা ইয়াসমিন জোর্য়াদ্দার ডলি প্রতিবাদ করলে এক নং আসামী ফজলুর রহমান তাকে ঝাপটিয়ে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় ও বেআবরু করে ফেলে। ১ নং আসামীকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে শিক্ষক রবিউল, ইমরান, সাইদুল ও আবুল কালামও তার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতে থাকে এবং পরণের কাপড় খোলার চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে শিক্ষক ইয়াছির আরাফাত ও গোলাম মোস্তফা ছুটে এসে তাকে বেআবরু অবস্থায় দেখতে পায়।
গত ১৭ মে এ ঘটনার জন্য শৈলকুপা থানায় মামলা করতে গেলে শৈলকুপা থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি বলেও বাদী দিলারা ইয়াসমিন জোর্য়াদ্দার মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন। বাদীর পক্ষে এডভোকেট শারমিন সুলতানা শ্যামলী মামলাটি দায়ের করেন। উল্লেখ্য,শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠানে দীঘর্দিন ধরে প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যদের আভ্যন্তরীন বিষয়ে বিবাধ চলে আসছিলো।
প্রধান শিক্ষক দিলারা জোর্য়াদ্দারের বিরুদ্ধে অনিয়েমের অভিযোগ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে সরিয়ে নিজে প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ার অভিযোগ করেন দু’জন দু’জনেরই বিরুদ্ধে। তবে তারা দুজনই দুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা অস্বীকার করেছেন সাংবাদিকের কাছে। এক দিকে বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ যেমন নষ্ট হয়েছে তেমনি শিক্ষা অফিস ও প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করার অভিযোগ করেছেন স্কুলের অভিভাবকরা। তারা সুষ্ট সমাধান ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে।