শৈলকুপায় জুয়া ও মাদকের রমরমা কারবার
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় আবারো চলছে রমরমা জুয়ার আসর । পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বাসানো হয়েছে জুয়ার বোর্ড। সম্প্রতি ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) এ এসপি তারেক আল মেহেদী উপজেলার বিভিন্ন জুয়ার স্পটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় শেখপাড়া, রতিডাঙ্গা, মদনডাঙ্গা ও পৌর এলাকাসহ বেশ কিছু জুয়ার স্পট থেকে জুয়াড়ীদের ধরে জেল হাজতে প্রেরন করেন। এরপর থেকে উপজেলার সব জায়গায় জুয়ার বোর্ড বন্ধ হয়ে যায়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ত্রিবেনী ইউনিয়ন পরিষদের পিছনের মাঠে জুয়ার বোর্ড বসানো হয়েছে। বিকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত এই সব জুয়ার আসরে বিভিন্ন স্থান থেকে জুয়াড়ী আসে। মোটা অংকের হাতবদল হয় জুয়ার বোর্ডে ।
জানা গেছে, এসব বোর্ড থেকে পুলিশ মাসোয়ারা নিচ্ছেন। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে এসব জুয়ার কোর্ট থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। মথুড়াপুর গ্রামের দবির ও পদমদী গ্রামের হানিফ এই জুয়ার বোর্ড বসিয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়া থানা সংলগ্ন সুইপার কলোনিতে মালিপাড়া গ্রামের স্বপন কসাই এবং ভুমি অফিস সংলগ্ন পুরাতন কাপুড় হাটে জুয়ার বোর্ড বসিয়েছে মালিপাড়া গ্রামের রিপন। এছাড়া উপজেলা জুড়ে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক। জেলাজুড়ে মাদক বিরোধী অভিযানের মাঝে কিভাবে মাদক ব্যবসা চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শেখপাড়া ঝিনাইদহ জেলার অন্যতম গাজা বিক্রির হাট বলে খ্যাত।
এখান থেকে গাজা দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এসব গাজা বিক্রি ও ব্যবসার সাথে বকুল জোয়ার্দ্দার ও তার সিন্ডিকেট জড়িত। বিভিন্ন সময় গাজা বিক্রেতারা ধরা পড়লেও জামিনে এসে আবার তারা মাদক ব্যবসা শুরু করে। শেখপাড়া বাজারে ভরতের বাড়িতে বাংলামদ বিক্রি হচ্ছে। শেখপাড়া বাজারের ছোট শিপন, আনোয়ার, শান্তিডাঙ্গার মিজানুর রহমান, শেখপাড়ার কুদ্দুস মোল্লা, পদমদীর রঞ্জু, শ্যামল ও ফিরোজ বিভিন্ন ধরনের মাদক সামগ্রী কেনা-বেচার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পদমদী গ্রামের আতিয়ারের ছেলে শ্যামল মাদকের মহাজন হিসাবে পরিচিত। সে ইয়াবা এনে মুদি দোকানে রাখে।
সেখান থেকে বিভিন্ন হাতবদল হয়। রামচন্দ্রপুরের সিরাজুলের ছেলে ফিরোজ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। বে সব বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আয়ুবুর রহমান বলেন, মদনডাঙ্গা জুয়ার আসর বসে কিনা তা জানা নেই। এছাড়া মাদক কেনা-বেচার তথ্যও তার হাতে নেই । তবে এসব খতিয়ে দেখে অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান। ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার শৈলকুপা সার্কেলের সিনিয়র এ এসপি তারেক আল মেহেদী বলেন, যেখানেই জুয়ার বোর্ড বসবে সেখানেই অভিযান চালানো হবে। জুয়া ও মাদকের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই বলে তিনি জানান।