শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসলে শিক্ষকদের যত দাবি আছে, তার সব কিছুই পূরণ হবে—-শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ ভাদ্র (২৯ আগস্ট) : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। শিক্ষায় যা কিছু উন্নয়ন শেখ হাসিনার হাত ধরে হয়েছে, যতটুকু পথ হাঁটার কথা শেখ হাসিনার হাত ধরেই হাঁটতে হবে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন আপনারা ধৈর্য্য ধরে আছেন, আশায় আছেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসলে আপনাদের যত দাবি আছে, যতদ্রুত সম্ভব তার সব কিছুই পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ও স্বাধিনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটা আমরা যেভাবে চাই, তার মূল কেন্দ্রে শিক্ষক। কাজেই শিক্ষক যদি মানসম্পন্ন না হন, শিক্ষকের মনে যদি প্রশান্তি না থাকে, তিনি যদি মন খুলে তার শিক্ষার্থীকে শেখাতে না পারেন, তাহলে আমরা যত কারিকুলামই করি, যা কিছুই করি, সেখানে ঘাটতি থেকে যাবে। কাজেই শিক্ষকরা জরুরি, প্রধানমন্ত্রী সেটা ভালো করেই বোঝেন। সেজন্য আজ পর্যন্ত যা কিছু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। তাহলে আপনারা তো আস্থা রাখতে পারেন, আমাদের যতদূর পথ হাঁটার কথা শেখ হাসিনার হাত ধরেই হাঁটতে হবে।
শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের অনেক কিছু চাওয়ার আছে, এগুলো যৌক্তিক। সেই যৌক্তিক চাওয়াগুলো আমরা নিশ্চয় পূরণ করবো। কিন্তু সেটার জন্য আন্দোলন করার এই মুহূর্তে সঠিক সময় নয়। আমি মাঝে মাঝে জোক করে বলি এখন নির্বাচনের সময় আন্দোলনের মৌসুম। সেই মৌসুম ভেবে কেউ কেউ রাস্তায় নেমে যান, আবার একটু উস্কানিও থাকে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশাআল্লাহ। এবং তারপরে আপনাদের চাওয়া যা কিছু আছে সবই পূরণ হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা সরকারি আছেন তাদের একরকম দাবি, যারা এমপিওতে আছেন তাদের একরকম দাবি, যারা নন-এমপিও তাদের একরকম। পুরো জিনিসটা বুঝে গুছিয়ে, জটিলতাগুলোকে দূর করে তারপর করতে হবে। আমরা দু’টি কমিটি করে দিয়েছি, দু’দিনের একটি ওয়ার্কশপ করলাম। সবাইকে ডাকলাম। কিন্তু আমাদের নামে কদর্য কথা বলছেন, কুৎসা রাটাচ্ছেন তাদেরকেও বললাম আসেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মেইন লোক (ওয়ার্কশপে) ছিলেন না। তাদের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য সরকার তাদের ডেকে নিয়ে আসছে সেখানেও তারা আসতে রাজি না। তখন বিএনপি-জামায়াতের একটা সমাবেশ ছিল। তারা সেই সমাবেশে থাকবেন। তাদের নিয়ে নাচানাচি তো দরকার নেই। শিক্ষর্থীদের জিম্মি করে তারা দাবি আদায়ের মৌসুম মনে করে, বিরোধীদলের তথাকথিত আন্দোলনের পালে হাওয়া লাগাবার জন্য তারা রাস্তায় বসবে, সেটাকে প্রশ্রয় দেবার কোনো কারণ নেই।