শুধু ঢাকাই বাংলাদেশ নয় – ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘শুধু ঢাকাই বাংলাদেশ নয় – বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকা নিয়েও ভাবতে হবে। পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য জেলায় কাজ করতে হবে’। মন্ত্রী আজ রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে প্রথম বারের মতো আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘ফুড অ্যান্ড হসপিটালিটি বাংলাদেশ এক্সপো – ২০১৯’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
‘এবারের আন্দোলন, বিশ্বমানের বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি অ্যাসোসিয়েশন (বিহা) এবং ওয়েম বাংলাদেশ লিমিটেড এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। প্রদর্শনীতে চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের ফুড অ্যান্ড হসপিটালট সেক্টরের এক্সিবিউটর, ব্র্যান্ড, ইন্টারন্যাশনাল ডেলিকেট এবং বায়ার অংশগ্রহণ করছে। ভূমিমন্ত্রী বলেন, এধরণের প্রদর্শনী শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও করা উচিত।
বিদেশে এ ধরণের প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনার কথা শুনে মন্ত্রী আয়োজকদের প্রশংসা করেন। সেই সাথে আরো বেশি সংখ্যক বিদেশিদের এ ধরণের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আয়োজকদের পরামর্শ প্রদান করেন। মন্ত্রী মনে করেন বিনিয়োগ সম্প্রসারণে পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীন এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ইতিমধ্যে আমরা অর্জন করে ফেলেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ২০২১ সালের মধ্যই মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হব। পর্যটন শিল্প আমাদের দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যাবশ্যক। সরকার এ শিল্পখাত খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এইচ এম হাকিম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ
পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ জামান খান কবির, ‘বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাসুদ এ খান এবং বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি লুৎফর রহমান বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতবৃন্দ, মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, হোটেল এবং ট্যুরিজম সেক্টরের ব্যবসায়ীবৃন্দসহ পর্যটন খাতের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।