লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হাইকমিশনার মো. নাজমুল কাওনাইন জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। এই দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
লন্ডনে সফররত সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালবাসতেন এবং এই দিনটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও তাঁর আদর্শ শিশুদের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছেন, কিন্তু তিনি আজো আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। তাঁর আদর্শ ও তাঁর কর্মময় জীবন থেকে দীক্ষা নিয়ে ত্যাগ ও দেশ গড়ার মন্ত্রে দীপ্ত হয়ে প্রতিটি নাগরিককে স্বীয় অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর দেশে দুর্যোগ নেমে এসেছিল। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে তিনি সকলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তাঁর আদর্শে আমাদের শিশুদের বাঙালি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
জাতির পিতার বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনায় আমন্ত্রিত অতিথিবর্গের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল উদ্দিন আহমেদ ও আবুল হাশেম, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী খালেদা কোরাইশী। বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যোগ্য নাগরিক হিসেবে শিশুদেরকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সবশেষে জাতির পিতার জন্মদিন উদ্যাপনে কেক কাটা হয়। এ সময় যুক্তরাজ্য প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বাংলা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।