প্রধান মেনু

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে কাজ করবে সুইজারল্যান্ড

কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড কাজ করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সফররত প্রেসিডেন্ট আঁলা বেরসে। তিনি বলেছেন, ‘শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে চলমান অগ্রগতিকে সুইজারল্যান্ড স্বাগত জানায়। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে হবে বলেও আশা রাখি।’ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট আঁলা বেরসে বলেন, ‌‍‌‍বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাদের জরুরী সহায়তা দিয়েছে ও সহায়তা দেবে এবং সেই সাথে মানবিক প্রচেষ্টা যুক্ত থাকবে।

এর ফলে কক্সবাজারের স্থানীয় কমিউনিটিও উপকৃত হবে। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ডের বন্ধুত্ব ৪৫ বছরের। এ বন্ধুত্ব অটুট রাখতে কাজ করছে সুইজারল্যান্ড। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে, তা নজিরবিহীন। এজন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুইস এয়ারফোর্সের বিশেষ বিমানে করে কক্সবাজার পৌঁছান সুইস প্রেসিডেন্ট।

বিমান বন্দর থেকে তিনি সরাসরি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) স্থাপিত রোহিঙ্গা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগী ও চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। কক্সবাজার সদর জেলা হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ সুইস অনুদান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় স্থানীয়দের পাশাপাশি আগত রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্যহাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন সুইস প্রেসিডেন্ট।

পরে দুপুর ১২টার দিকে তিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার ১০ রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকের চিকিৎসা কার্যক্রম এবং ডি-৫ ব্লকের ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শন ছাড়া সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন সুইস প্রেসিডেন্ট। এসময় সুইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইওএম ও ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। চার দিনের সফরে রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান সুইস প্রেসিডেন্ট।