প্রধান মেনু

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মালামাল পরিবহনে নদী খনন কাজ উদ্বোধন

নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, দেশের সকল নদী দখলমুক্ত করা এবং নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আগের চেয়ে নৌপথ এখনও সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। আগের তুলনায় নৌদুর্ঘটনা কমে  এসেছে।

মন্ত্রী আজ মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পাটুরিয়া মিনি টার্মিনালে মোংলা বন্দর থেকে চাঁদপুর-মাওয়া- গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌ-রুটের নাব্যতা উন্নয়নে ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান (দুর্জয়), নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন এবং শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস।

 শাজাহান খান বলেন, নিরাপদ নৌপথ সৃষ্টি এবং নৌযাত্রা ঝুঁকিমুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে সরকারের দায়িত্ববোধ থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নৌ-সেক্টরের উন্নয়নের লক্ষ্যে নৌপথের সংরক্ষণ ও নৌপরিবহনের বিকাশে ইতোমধ্যে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। নদী খননের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে।

সরকারের বর্তমান মেয়াদে ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের ভারি মালামাল পরিবহন নিরাপদ ও সহজতর করার জন্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে নৌ-পথে রূপপুর পর্যন্ত নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মোংলা বন্দর থেকে চাঁদপুর-মাওয়া- গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌ-রুটের নাব্যতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পদ্মা, গঙ্গা, কচা, স্বরূপকাঠি, আমতলী এবং আড়িয়াল খাঁ নদীর ৪৫০ কিলোমিটার অংশের ড্রেজিং প্রকল্প গ্রহণ করে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনী জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত উক্ত রুটে ৩৫০ লাখ ঘনমিটার পলি ড্রেজিং করবে। এজন্য ব্যয় হবে ৮৯৫ কোটি টাকা। নৌ-পথটি ১০০ মিটার প্রশস্ততা ও শুষ্ক মৌসুমে ৪ মিটার (সর্বনি¤œ) গভীরতায় খনন করা হবে।