রূপপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের মূল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের মূল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বোরিচভ। শনিবার দ্বিতীয় ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএইএ) পরিচালক দহী হান, রাশিয়ার কৃষি উপমন্ত্রী ইলিয়া শেস্তাকফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রমুখ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর ভবনের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের মাধ্যমে ইউনিটটির মূল নির্মাণকাজ শুরু হবে। এর পর বিকাল ৩টায় পাবনা পুলিশলাইন মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা আণবিক শক্তি কর্পোরেশনের (রোসাটম) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ওই অনুষ্ঠানে রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার পরিচালক তৌহি হানসহ দেশি-বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।রাশিয়ান ফেডারেশনের সহযোগিতায় রূপপুরে পদ্মা নদীর তীরে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি বসানোর কাজের উদ্বোধন করেন।২০২০ সালের মধ্যেই মূল রিঅ্যাক্টর ভেসেলসহ সব যন্ত্রপাতিই রাশিয়া থেকে চলে আসবে বলে প্রকল্প সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে ১২০০ করে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিটে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালিত হবে।
এদিকে মূল প্রকল্প এলাকার বাইরে নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক আবাসন পল্লী ‘গ্রিন সিটি’।২০১৪ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় রাশিয়ান ফেডারেশনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সের্গেই কিরিয়েঙ্কো এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর থেকেই দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে।