রায়পুরে ইউরিয়া সারের কৃত্রিম সংকট
মো: আবদুল কাদের,রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইউরিয়া সারের কৃত্রিম সংকট এবং মূল্য বৃদ্ধিতে ঠকছে কৃষক। রায়পুরে চলতি আমন মৌসুমে কিছু অসাধু ডিলার খুচরা সার ব্যবসায়ীরা ইউরিয়া সার সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে অনেক বেশী দামে সার বিক্রি করছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কতিপয় কিছু অসাধু ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ঘরে সার নেই, জমাট বাঁধানো সার বলে কৃত্রিম সংকট করে এ অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের ঠকিয়ে তাদের নিকট বেশি দামে সার বিক্রয় করছে।
আরো অভিযোগ রয়েছে, কিছু ডিলার ও খুচরা সার ব্যবসায়ী সরকারি নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করেই এ সব জমাট বাঁধানো বিভিন্ন কোম্পানীর ইউরিয়া সার প্রতি বস্তায় পঞ্চাশ থেকে একশত টাকা পর্যন্ত বেশী দামে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জমাট বাঁধানো এসব সার বেশি দামে ক্রয় করে প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। তাছাড়া জমাট বাঁধা সারের গুনগত মান নিয়েও দেখা দিয়েছে অনেক প্রশ্ন। এসব সার জমিতে প্রয়োগ করে কোনও ফল পাচ্ছে না কৃষকরা।
রায়পুর উপজেলা কৃষি অফিস তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ইউরিয়া ও নন ইউরিয়া সার ক্রয়- বিক্রয়ের জন্য উপজেলায় বিসিআইসির ডিলার রয়েছে মোট ১০ জন ও সাব- ডিলার (কার্ডধারী সার ব্যবসায়ী) ৮০ জন এবং কার্ড ধারী কিটনাশক বিক্রেতা রয়েছে পাইকারি ১৭ খুচরা ১৫০ জন। ফলে বাজারে সারের সংকট নেই। তবে খুচরা সার ব্যবসায়ীরা দামে বেশি ও ওজনে কম দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন। কৃষকেরা জানান, যত প্রকারের সার হোক না কেন সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম তো একই। তাছাড়া সারে বিভিন্ন ভেজাল ও ডিএপি বাংলাদেশি সারের বস্তায় ৪/৫ কেজি ওজনে কম দিয়ে নিজস্ব সেলাই মেশিনে সেলাই করে প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি স্থলে ৪৫ কেজি বিক্রয় করে থাকে এমন অভিযোগও রয়েছে ডিলারদের বিরুদ্ধে।
কৃষকেরা আরো জানান, খোদ ডিলারা এ সব সারের বস্তায় সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্য ৮০০ টাকার ইউরিয়া সার ৯০০ থেকে ১ হজার টাকা বিক্রি করছে বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে বাজারে খোঁজ নিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা ডিলার জানান, দেশি বস্তায় বিদেশি সার ভরে প্রতি বস্তায় কম দেওয়া ও দামের হেরফের সব তুঘলকি কারবার হয়ে থাকে রাযপুর পৌরশহরের অনেক ডিলারের ঘর থেকে। এতে আমাদের কিছুুই করার নেই। কিন্তু এসব করার কারণে আমরা ছোট- খাটো ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছি।