প্রধান মেনু

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে — ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব

ঢাকা, ২৯ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) : ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকারখানা লাভজনক করতে সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিল্পকারখানায় বিদ্যমান কাঁচামাল, মেশিনারি সম্পদসহ সকল কিছুর দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে এবং রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ এর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পখাতে অগ্রগতির চলমান ধারা গতিশীল করতে প্রতিদিন নিজেদের কাজে একটু হলেও গুণগত পরিবর্তন আনার তাগিদ দেন। আজ মহান বিজয় দিবস ২০১৮ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব এসব কথা বলেন। রাজধানীর বিসিআইসি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মোঃ দাবিরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ্ধসঢ়; মোঃ আমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।

ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব বাঙালি জাতিকে প্রতিরোধী জাতি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্রের জোরে নয়, বুদ্ধি, কৌশল ও সাহসিকতার জোরে বাঙালিরা পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে পরাস্ত করেছিল। সেই মেধা ও বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেকে উজ্জীবিত করতে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের আগে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি শিল্পপতি বলতে তেমন কেউ ছিল না। তখন এ ভূ-খন্ডে  যেসব কলকারখানা ছিল, তার প্রায় সবই ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের মালিকানায়।

বঙ্গবন্ধু ছয় দফার মাধ্যমে শিল্পখাতে বাঙালির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিলেন। এ দাবিই পর্যায়ক্রমে বাঙালি জাতির স্বাধিকার সংগ্রামে পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দশ বছরে শিল্পখাতে উন্নয়নের যে জোয়ার বয়ে গেছে, তার মাধ্যমে জাতির পিতার অর্থনৈতিক মুক্তির স¦প্ন অনেকটাই পূরণ হয়েছে। ইতোমধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ পৌঁছে দেয়া হবে।