রাজধানীর আদাবরে কাজের ছেলেকে মেরে ফেলার দায়ে ৪জনকে আটক করেছে আদাবর থানা পুলিশ
হাসিব: একটা সময় ছিল দুর্বলদের প্রতি শক্তিধর মানুষরা নির্যাতন করে যেত। তখন কেউ কাউকে কিছু বলতে সাহস পেতনা এবং যে যাকে পারতো তাকে নির্মম ভাবে খুন করেযেত কিন্তু সেই খুনের কোন বিচার হতনা। কারন কে কার কাছে বিচার চাইবে? যার গায়ে শক্তি ছিল তারই সব ছিল। এই আধুনিক যুগে এখনোকি সেই অন্ধকার যুগের মুর্খ বরবর জাতির মত একজনকে নির্যাতন করবে সেটা কেউ মেনে নেবেনা? এখন দেশে আইন আছে, আইন প্রতিষ্ঠা করার জন্য লোক আছে, কিন্তু তারপরও রাজধানীর আদাবর শেকের টেক একটি ফ্লাটে দির্ঘদিন ধরে অন্ধকার যুগেরমত নির্যাতনের স্বিকার হয়ে আলামীন-(১৪) নামের একটি কাজের ছেলে নির্মম ভাবে খুন হয়। এই খুনের দায় সেই ফ্লাট থেকে একই পরিবারের ৪জনকে আটক করেছে আদাবর থানা পুলিশ, এবং আলামীনের লাশ মর্গেপাঠা হয়।
উপস্থিত লোক মুখে জানা যায় আলামীন মারা যায় ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ আনুমানিক সকাল ৬টার দিকে। আলামীনের বাবার নাম মো:রুহুল আমিন, গ্রাম-বাগাডুবা, থানা-কতুয়ালী, জেলা-মমেনসিং। যে বাসায় কাজ করতো ২৩/২৫ সালমা গার্ডেন, রোডনং-৪,শেকেরটেক,আদাবর ঢাকা, ৩ তলার জুবায়ের শেখের বাসায়। এবাসায় থাকতো জুবায়ের-(৩৪) জুবায়েরর স্ত্রী-২৩,জুবায়েরর শ্যালক-(১৭) এবং জুবায়েরর শাশুড়ি আনজুয়ারা পারভিন-(৪৫)।
আলামীনের কাকা হারুন রশিদ সাংবাদিকদের জানায় ৫/৬মাস আগে আলামীনকে মাসে ৩হাজার টাকা বাবদ এ বাসায় কাজকরতে দেওয়া হয়। ২মাস বেতন দিয়ে এই চারমাস বেতন দিতোনা। বেতন চাইলেই মারতো। আমার বাচ্চাকে খেতে দিতোনা খুব অল্প বাশিপচা খাবার দিত। বাচ্চার গায়ে অনেক আঘাত করা হয়েছে ঘাড় ভেঙ্গে ফেলেছে, মাথা ফাটিয়েছে। প্রথমে আমাদেরকে মোবাইল করা হয় যে আলামীন বাচ্চা আমার অনেক অসুস্থ আবার ফোন করে বলেযে না বাচ্চা মারা গেছে। আমরা আইশা পুলিশ খবর দি, এবং ওরা আমাদের কে বলে যে তোমারা তো অনেক গরিব মানুষ কোন প্রকার ঝৈইঝামেলা না করে আমি তোদেরকে আড়াইলাখ টাকা দেই সেটা নিয়ে বাড়ি যা। টাকার কথা পুলিশকে জানালে পুলিশ বলে তোমরা কথা বলে ওদেরকে ব্যস্ত রাখো যেন পালানোর সুযোগ না পায়, আমরা আসছি।
আদাবর থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান শাহিন সাংবাদিকদের বলেন, যদিও শোনা যায় মারা গেছে সকাল ৬টায় কিন্তু আমরা খবর পাই সন্ধা-৬টার দিকে এই ১২ঘন্টা বাসার লোকজন আমাদেরকে কিছু জানায়নি। ছেলেটার বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে ঢাকায় এসে আমাদেরকে জানায়। আমরা গিয়ে যা দেখতে পাই সেই মধ্যযুগের বরবর কাহিনির মত ছেলেটাকে খাবারের প্রচন্ড কষ্টদিতো যার দরুন গায়ের হাড্ডি গুলো গোনা যাচ্ছিল এবং নির্যাতন করতো, গায়ে হাতপায়ে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং মাথা ফাটা মাথা দিয়ে তখনো রক্ত দেখা যাচ্ছিল। আমরা সেই বাসা থেকে ৪জনকে আটক করেছি। আলামীনের বাড়ির লোকজন আসছে তারা একটি হত্যামামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।