প্রধান মেনু

রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে — বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। সে সব দেশে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বের যেখানে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সেখানেই যেতে হবে। শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। রপ্তানিকারকদের এ জন্য আরো বেশি তৎপর হওয়া প্রয়োজন। সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইটি, ঔষধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া, পাটপণ্য এবং কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অনেক পণ্য রপ্তানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আজ ঢাকায় পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ট্রেড এন্ড এক্সচেঞ্জ রেট পলিসিজ ফর এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে রপ্তানি ক্ষেত্রে খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি এবং ঔষধ রপ্তানি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। এলডিসিভুক্ত দেশ উন্নত দেশে ঔষধ রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের মেয়াদ আগামী ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। বাংলাদেশের সে সক্ষমতা আছে। ২০২১ সালের মধ্যে অগ্রাধিকারভুক্ত আইটি, ঔষধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া, পাটপণ্য এবং কৃষিপণ্য খাতের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ (পিআরআই) এর চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই-এর ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদেক আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ^ব্যাংকের লিড ইকনোমিস্ট এন্ড কান্ট্রি সেক্টর কো-অর্ডিনেটর ড. জাহিদ হোসেন, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।