প্রধান মেনু

রংপুরে অপহৃত শিশু আসিফ সৈয়দপুরে উদ্ধার ॥ আটক ১

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা ॥ রংপুর বিভাগীয় শহর থেকে পাঁচ বছরের শিশুপুত্র  আসিফকে অপহরণের ৩৬ ঘন্টা পর নীলফামারীর সৈয়দপুর শহর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২ জুন রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের নাটোর দই ঘরের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত শাহিন নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। আটক শাহিন (১৯) সৈয়দপুর শহরের কয়াগোলাহাট বসুনিয়াপাড়া ওমারু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, রংপুর বিভাগীয় শহরের আলমনগর খ্যারবাড়ী এলাকার মো. আশরাফ হোসেন কাল্টুর ছেলে আসিফ (৫)। সে গত ১ জুন শনিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। ওই দিন সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেও তার হদিস মিলেনি। পরবর্তীতে তাঁর নিখোঁজের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে রাতে রংপুর শহরে মাইকিং করা হয়। এছাড়া রবিবার সকালে শিশু আসিফের নিখোঁজের বিষয়ে রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করে তাঁর বাবা।

এদিকে, ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর বাবার মুঠোফোনে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী শাহিন। এরপর মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য তাকে কয়েকটি বিকাশ নম্বরও দেয়। পরবর্তীতে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে প্রথমে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে এবং পরে গোলাহাটে আসতে বলা হয়। এভাবে মুক্তিপণের টাকা হস্তান্তরের স্থান নিয়ে কয়েক দফা কথা হয় অপহৃত আফিসের বাবা ও অপরণকারীর মধ্যে। এক পর্যায়ে শাহিন টাকা নিয়ে সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের নটোর দই ঘরের সামনে আসতে বলে। এ অবস্থায় আশরাফ কাল্টু রংপুর থেকে সৈয়দপুরে এসে থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানান এবং পুলিশের সহায়তা চান।

অপহরণকারীকে হাতেনাতে ধরতে সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের নাটোর দই ঘরের সামনে অবস্থান নেয় এবং শাহিনের সঙ্গে আফিসের বাবার মধ্যে কথাবার্তার এক পর্যায়ে শাহিনকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে উদ্ধার হয় রংপুর শহরে আলমনগর খ্যারপাড়া থেকে অপহৃত শিশু আসিফ। আসিফের বাবা আশরাফ হোসেন রংপুর বিএডিসির একজন শ্রমিক। তার ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে আসিফ ৭ম সন্তান। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা শিশু আসিফ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অপহৃত শিশু আসিফ ও অপহরণকারীকে রংপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।