যেখানে ট্রান্সপারেন্সি আছে সেখানে উন্নয়ন আছে — ডেপুটি স্পিকার
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, যেখানে ট্রান্সপারেন্সি আছে সেখানে উন্নয়ন আছে। বাংলাদেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ট্রান্সপারেন্সির জন্যই সম্ভব হচ্ছে। এভাবে দেশের প্রতিটি সরকারি এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সংগঠনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে অতি দ্রুত সময়েই বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে নাম লেখাতে সক্ষম হবে।
তিনি আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ঢাকাস্থ গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলা সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলা ঐতিহাসিকভাবেই সমৃদ্ধ। কারণ এখান থেকেই আবুল হোসেন সরকার তৎকালীন পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তার সততা, নিষ্ঠা ও মানুষের প্রতি ভালবাসার কারণে। তাই এ সমিতি যদি তার আদর্শ ধারণ করে স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে তাদের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে অবশ্যই এ এলাকা আর পশ্চাৎপদ থাকবে না। তিনি বলেন, এখন গাইবান্ধা জেলায় অনেক বিত্তবান এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তাদের সবাইকে জেলার উন্নয়নে যার যার অবস্থানে থেকে কাজ করে যেতে হবে। এসময় তিনি সাদুল্লাপুর থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে এ সমিতির পৃষ্ঠপোষকতা করে সার্বিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
সরকার ঘোষিত ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে গাইবান্ধা জেলার সর্বস্তরের মানুষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার। এসময় তিনি দেশের অন্য একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের ঘোষিত ভিশন-২০৩০ এর সমালোচনা করে বলেন, এটি একটি অন্তঃসারশূন্য রূপকল্প। এ ধরনের রূপকল্পকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংগঠনের সভাপতি মোকছুদার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, বাংলাদেশ জুট কর্পোরশনের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ফরিদ আহম্মদ, সংগঠনের সহ-সভাপতি শামসুল জোহা রাঙ্গা প্রমুখ।