যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এসডিজি অর্জন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDGs) এর লক্ষ্যমাত্রা (Target) ৮.৬ এবং ৮.ন অর্জনের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে নেতৃত্ব প্রদানকারী মন্ত্রণালয় (Lead Ministry) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে মন্ত্রণালয় কর্তৃক Action Plan’ এবং Monitoring and Evaluation Framework’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ Action Plan’ এবং Monitoring and Evaluation Framework’ বিষয়ে একটি কর্মশালা আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বিপুল সফলতার মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) সমাপ্ত করেছে। এখন ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য নির্মূল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে অগ্রগামী হয়েছে। ইতোমধ্যে টেকসই উন্নয়নের প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের সাথে সম্পৃক্ত লিড ও সহায়ক মন্ত্রণালয়গুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদে মন্ত্রণালয়গুলো সংশি¬ষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তার ওপর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর অন্তর্গত কর্মসূচি নির্দেশকসমূহের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতেও এর প্রতিফলন ঘটানো হচ্ছে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশপাশি এর সুবিধা সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বিস্তারে উলে¬খযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধশীল দেশ গঠনে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি ধারণ করে সরকার সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এমডিজির মতো এসডিজি অর্জনেও আমরা সক্ষম হবো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এসডিজির অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য ১৩টি ও ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য ১৯টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে । এর মধ্যে শোভন কর্ম এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আওতায় যে সকল যুব সমাজ কর্ম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে নেই তাদের সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং সামাজিক সুরক্ষা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য জিডিপিতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি করাই প্রধান লক্ষ্য।
কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বেসরকারি সে¦চ্ছাসেবী সংস্থার শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।