যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বেড়েছে — বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা না পেলেও বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রায় ৬ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য রপ্তানি করছে। তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা স্থগিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৬টি শর্ত প্রদান করে। বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ে সে শর্ত পূরণ করে, এরপরও জিএসপি সুবিধার স্থগিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। বাংলাদেশ এখন আর জিএসপি সুবিধা দাবি করছে না। জিএসপি সুবিধা ছাড়াই এ মুহুর্তে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স (অ্যামচ্যাম) আয়োজিত রিফ্লেকশনস অন দ্য ইউএস-বাংলাদেশ রিলেশনশিপ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অভ্ অনার ও স্পিকার হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত, সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি অভ্ স্টেট, মার্কিন সরকারের আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরামর্শক ফ্রাং জি. উইসনার (ঋৎধহশএ. ডরংহবৎ)।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সফলভাবে এমডিজি অর্জন করে জাতিসংঘে পুরস্কৃত হয়েছে। এসডিজি অর্জনে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। যথাসময়েই বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে। একসময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি ও দরিদ্র দেশের মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন, আজ তারাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময় বলছেন। বিশ^ব্যাংকসহ সকল অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের এগিয়ে যাবার কথা বলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আগামী ২০২১ সালে দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স (অ্যামচ্যাম)-এর প্রেসিডেন্ট মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গধৎপরধ ইবৎহরপধঃ বক্তৃতা করেন।