যারা গণতন্ত্রের নামে নির্বাচন ঠেকাতে চায় জনগণ তাদের প্রতিহত করবে—-এনামুল হক শামীম
ঢাকা, ১৯ ভাদ্র (৩ সেপ্টেম্বর): পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সম্মানিত করতে যা যা করণীয় তা করছেন শেখ হাসিনা। আর মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন। যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের পুর্নবাসিত করেছে জিয়া। আর খালেদা জিয়া তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। তারা আগামী নির্বাচন ঠেকানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। যারা গণতন্ত্রের নামে নির্বাচন ঠেকাতে চায় এদেশের জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রজন্ম ঐক্যমঞ্চ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দ্যেশে উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপির উচিত নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। ক্ষমতায় আসতে জনগণের কাছে যান। ক্ষমতায় থাকতে দেশের অর্থ ও সম্পদ লুন্ঠন করেছেন। আর ক্ষমতায় আসতে না পেরে পেট্টোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছেন, তার মাফ চান। এদেশের জনগণ উন্নয়নে বিশ্বাসী। কোনো বিদেশি প্রভুরা এদেশের ক্ষমতার মসনদ বদল করাতে পারবে না। এদেশের জনগণের ভোটেই একমাত্র ক্ষমতার পরিবর্তন হতে পারে, অন্যথায় নয়।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠণের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণিত হয়েছে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিগরি সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণসহ নির্বাচনি ব্যবস্থার সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেন, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ একই সূত্রে গাথা। এদেশের গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ দুর্বল হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশের যে উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত আছে, আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতা আনার মাধ্যমে তা অব্যাহত রাখতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জহির সিকদার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মানিক লাল ঘোষ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান আজমসহ এসময় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।