মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু: মামলা করতে বাধা দেয়ায় বাবার আত্মহত্যা
সাভার প্রতিনিধি : সাভারে মেয়ে হত্যার বিচার প্রক্রিয়া চালাতে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় গরিব ভ্যান চালক বাবার রহস্যজনক আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। শশুর বাড়ীর লোকজনের চাপে পড়ে ও পারিবারিক বাধা নিষেধের জের ধরে মেয়ের হত্যা মামলা না করতে পেরে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সাভারের তালবাগ এলাকায় ভ্যান চালক আমিন মোল্লা (৩৫) নিজ ভাড়া ঘরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।
তার দেশের বাড়ী মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার জাফরগঞ্জ গ্রামে।
সূত্র মতে, মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে নিশ্চিত জেনে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা করার উদ্যোগ নিলে তাকে বকা ঝকা করেন স্ত্রী জোসনা তার ভাই ভাসান, ছেলে তুষার মোল্ল্য ও শাশুরী নুর বানু। এ ঘটনার পর থেকে ওই ভ্যান চালকের স্ত্রী সন্তান ও শাশুরি গা ঢাকা দিয়েছে।
বুধবার সকালে সাভার পৌর এলাকার তালবাগে ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা এবং পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে আমিন মোল্লা তার মেয়ে তৃষার হত্যা বিচারের কার্যক্রম নিয়ে শশুড় বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে শশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে ভাসান শেখ এর সঙ্গে মতের অমিল ঘটলে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। তারা রাতেই তাকে তাদের বাসা থেকে বরে করে দিলে তিনি নিজের ভাড়া বাসায় ফিরে আসেন। সকালে তালবাগ এলাকায় নিজ ভাড়া ঘরে আড়ার সাথে ঝুলন্ত ভ্যান চালক আমিন মোল্ল্যার (৪০) লাশ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
গত ২৩ এপ্রিল ওই ভ্যান চালকের শিশু মেয়ে স্থানীয় কলকাকলী স্কুলের ৫ম শেনীর ছাত্রী তিশা আক্তার নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর রেডিওকলোনী এলাকায় তার খালার বাড়ীতেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ছাদ থেকে পড়ে মারা যায় বলে জানানো হয়।
সাভার মডেল থানার এস আই জহির সাংবাদিকদের জানান, মেয়ে তৃষার হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করার জন্য সে উদ্যাগ নিলে পারিবারিক ভাবে তাকে বাধা নিষেধ করা হয়। সে কারনেই সে রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করতে পারে ।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ওসি মহসিনুল কাদের জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, তৃষার ময়না তদন্ত রিপোর্টে উচ্চ স্থান থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে রিপোর্ট এসেছে। তবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা গ্রহন করা হবে।