প্রধান মেনু

মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে — মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত মুজিবনগর বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের অন্যতম প্রতীক। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম শপথ গ্রহণ, ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা সমৃদ্ধ তথ্য ও নিদর্শন দেশবাসী তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং বিদেশিদের কাছে অধিকতর সফলভাবে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে উদ্দেশ্যে বর্তমান সময়ের বিবেচনায় স্মৃতিকেন্দ্রটির কলেবর আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে ২০২১ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। মন্ত্রী আজ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণ’ উপলক্ষে স্থাপত্য নকশা চূড়ান্ত অনুমোদনের নিমিত্তে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রটির আয়তন ৭৫ একর। আরো ৩৬ দশমিক ১৭ একর বৃদ্ধি করে এটিকে ১১১ দশমিক ১৭ একরে পরিণত করা হবে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে আনুমানিক ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার নতুন করে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটির প্রাথমিক নকশাও প্রণয়ন করা হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে সকলের মতামত গ্রহণ করে নকশা অনুমোদন করার লক্ষ্যে আজকের এই সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মুজিবনগর সরকার যে পথ ব্যবহার করেছিল সেই সড়কটি সংরক্ষণ করে দর্শকদের দেখার ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুজিবনগরের ঐতিহাসিক আমবাগানের আমগাছগুলো সংরক্ষণ করারও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্মৃতিকেন্দ্রের পরিবেশ শীতল রাখতে অভ্যন্তরীণ পুকুরের পানির স্তর নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং আগত দর্শকদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হবে। পর্যটন মোটেলটি পরিপূর্ণভাবে চালু করারও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ।

দর্শকদের নিরাপত্তাসহ সকল সুবিধার জন্য দক্ষ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চালু করার নির্দেশনা প্রদান করে মন্ত্রী বলেন, ফুড কর্নার, স্যুভেনির শপ ইত্যাদি স্থাপনের জন্য যথাযথ স্থান নির্ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দর্শকদের নিকট তুলে ধরতে প্যানোরামিক ভিউতে দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্যগুলো সঠিক কাঠামো ও আকৃতিতে পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্মৃতিকেন্দ্রের স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য অভ্যন্তরে অবস্থিত অন্যান্য বিভাগের স্থাপনা পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ বড় আকারের বাংলাদেশের মানচিত্রটির ভুল-ত্রুটি নির্ণয় করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুনভাবে তৈরি করা হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এস এম আরিফুর রহমান, স্থাপত্য অধিদপ্তরেরপ্রধান স্থপতি, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, মেহেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ।