প্রধান মেনু

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা — – বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বৈষম্য, বঞ্চনা, দারিদ্র্যকে দূর করে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য। কিন্তু স্বাধীনতার অব্যবহিতপরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে তার ইতি ঘটে। এর পরবর্তী শাসকচক্র দারিদ্র্যবিমোচনে কোন প্রয়াস না নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালায়।

২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দারিদ্র্যবিমোচনে অন্তহীন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। নগর থেকে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত অনেকগুলো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। মন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বার্ষিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান হিলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তৃতা করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরফিন আরা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৬ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশ ছিল বর্তমানে তা ২৪ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ১২ দশমিক ৯ ভাগে এসে দাঁড়িয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ থাকলে ২০৪১ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে একটি সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। এ জন্য আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকারকে আবারও ক্ষমতায়  আনতে হবে।