প্রধান মেনু

মামলার জট কমাতে বিচারকদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে — – আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমানে দেশেরআদালতগুলোতে প্রায় ৩০ লাখ মামলা বিচারাধীন আছে। এ মামলার জট কমিয়ে আনা বিচার বিভাগ ও সরকারের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দেওয়ানি কার্যবিধি এবং অর্থঋণ আদালত আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির বিধান অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির সহায়ক আইন করা হয়েছে। বিচার বিভাগের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এবং শত বছরের পুরোনো আইন ও বিধিগুলো সংস্কার করে বিচার ব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে মামলা জট কমিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে বিচারকদেরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের জুডিশিয়াল কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ১৩৭ তম রিফ্রেশার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতির ক্ষেত্রে জেরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কারণ দুর্নীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম শত্রু। সেজন্য দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার বিচারকালে বিচারকদের অত্যন্ত সজাগ এবং এ সংক্রান্ত মামলার প্রতিটি পর্যায়ে সততা ও দক্ষতার সাথে আইনানুগ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

তাছাড়া বিচারপ্রার্থী জনগণ যাতে স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে ন্যায়বিচার পান এবং আইনি প্রক্রিয়া বা আইনি ব্যবস্থার জটিলতা কিংবা মামলার অযথা দীর্ঘসূত্রতার স্বীকার না হন তাও নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বিচারকগণ প্রত্যেকেই স্বাধীন একথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় একজন বিচারক যদি সৎ, দক্ষ, নিরপেক্ষ ও নির্লোভী হন তাহলে তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কোন ভয় থাকবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিচারকগণ মামলার প্রতিটি পর্যায়ে সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে এবং বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরো বৃদ্ধি পাবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সৎ, নিষ্ঠাবান, দক্ষ ও মেধাবী বিচারক গড়ে তোলার কাজটি করে থাকে। তাই এটিকে একটি উন্নতমানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য সরকার আন্তরিক। তিনি বলেন, সরকার ইনস্টিটিউটটিকে বিচার বিভাগীয় শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে ঈবহঃৎব ড়ভ ঊীপবষষবহপব হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।  বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হকও বক্তৃতা করেন।