প্রধান মেনু

মানুষের জীবনধারায় ডিজিটাল সংযুক্তি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে—-টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট): ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে মানুষের জীবনধারায় ডিজিটাল সংযুক্তি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে জলে – স্থলে -অন্তরীক্ষে ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বিটিআরসি অভাবনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে ডিজিটাল সংযুক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ৭০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।

ঢাকায় আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিটিআরসির নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন ভবন উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিটিআরসির চেয়ারম‌্যান শ‌্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম‌্যন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, ড. শাহজাহান মাহমুদ ও জহুরুল হক, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম‌্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান কমিশনারগণ ও মহাপরিচালকবৃন্দ অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিক্রিয়া ব‌্যক্ত করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার হাব হিসেবে নবনির্মিত টেলিযোগাযোগ ভবনের উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্র ক্ষণটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রার মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে বলেন, বিটিআরসি প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পর নিজস্ব আইকনিক ভবনে প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তরিত হলো। ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি ডিজিটাল সংযুক্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা শুরু হয়েছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও আইটিইউ – এর সদস্যপদ অর্জন এবং টিএন্ডটি বোর্ড গঠন করার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর বপন করা বীজটি সযত্নে চারা গাছে রূপান্তর করেন। ২০০৯ সাল থেকে সাড়ে চৌদ্দ বছরে চারাগাছটি বিরাট এক মহিরুহে রূপান্তর লাভ করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

২০০৯ সালে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথের ব্যবহার ছিল ১০ জিবিপিএস বর্তমানে তা ৪৮৬৫ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। ২০০৮ সালে এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইদথের দাম ছিল ২৭০০০/ টাকা, যা একদেশ এক রেটের আওতায় বর্তমানে ৬০ টাকা মাত্র। ২০০৯ সালে টেলিযোগাযোগ খাত থেকে মোট রাজস্ব আয় ছিল ৩৬০৭ কোটি টাকা বর্তমানে তা ৭০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। ২০০৯ আন্তর্জাতিক ব্রডব্যান্ড ক্যাপসিটি ছিল পঁয়তাল্লিশ জিবিপিএস বর্তমানে তা ছয় হাজার জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। ২০০৯ সালে ফাইভার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ছিল ১৪ হাজার ৮৭৬ কিলোমিটার বর্তমানে তা ১ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৬ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে।  ২০০৯ সালে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন ছিল শুন্য বর্তমানে চাহিদার শতকরা সাতানব্বই ভাগ দেশে স্থাপিত ১৫টি মোবাইল কারখানা থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আইকনিক এই ভবনটি ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের মাইলফলক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব‌্যক্ত করেন।