পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, মাদক ও দুর্নীতি মুক্ত সমাজ এবং মননশীল জাতি গঠনে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন অপসংস্কৃতি দেশের সুস্থ্যধারার সংস্কৃতিকে গ্রাস করে ফেলে ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বাঙালি ঐতিহ্য ও সুস্থ্যধারার সংস্কৃতি ধরে রেখেছেন। দেশ থেকে অপসংস্কৃতি রোধ করা গেলেও ফেসবুক বর্তমান সময়ের তরুণ সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে। ফেসবুকে আসক্ত তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে হবে। তাদেরকে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, রবীন্দ্র- নজরুল, লালন সহ প্রকৃতি ও এলাকার ইতিহাস জানাতে হবে।

এ জন্য সন্তানের সাথে পিতা-মাতার নিবিড় সম্পর্ক থাকতে হবে। নিজস্ব সংস্কৃতিচর্চায় ছেলে-মেয়েদের অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। এমপি বাবু আরো বলেন, যাত্রা শিল্প এক সময় বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল। জনপ্রিয় এই শিল্পটি আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ধরণের শিল্প ও সংস্কৃতিকে ধ্বংসের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে। এ জন্য সাহিত্য ও সুস্থ্যধারার সংস্কৃতি বেশি বেশি করে চর্চা করতে হবে। সৃজনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হবে। সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করতে হবে। যারা সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা ও মাদকের মাধ্যমে সমাজ ধ্বংস করে তাদেরকেও সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।  তিনি রোববার সকালে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা সাহিত্য অঙ্গন আয়োজিত সংগঠনের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি সুরাইয়া বানু ডলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না, আওয়ামী লীগনেতা আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নিতিশ চন্দ্র গোলদার, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ বাহার, হরেকৃষ্ণ দাশ, প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকার, রহিমা আক্তার শম্পা বক্তব্য রাখেন, প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্র নাথ সরকার, জেলা যুবলীগনেতা হারুন অর রশিদ, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, বজলুর রহমান, অনিতা রানী মন্ডল, মমতাজ পারভীন মিনু, জিন্নাতুন্নেছা পান্না ও সরদার মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ স্মরণিকা “প্রেরণা”র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।