প্রধান মেনু

মাটি ও মানুষের উন্নয়নে কৃষি অর্থনীতির বিকাশ অপরিহার্য — এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ মাটি ও মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনীতি তথা কৃষি অর্থনীতির বিকাশ অপরিহার্য। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শ্রমশক্তির প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে কৃষিখাতের ওপর আরো জোর দিচ্ছে।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) বগুড়া এবং লিমরা ট্রেড ফেয়ারস এন্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ৯ম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ কামাল উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লিমরা ট্রেড ফেয়ারস এন্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড এর পরিচালক কাজী সারোয়ার উদ্দিন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়ার মহাপরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, আধুনিক বিশ্বে কৃষির সকল স্তরে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগার পাশাপাশি এদেশের কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির আশানুরূপ পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং তা কৃষিক্ষেত্র ছাড়াও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, গ্রামে ভবন নির্মাণ করে কৃষি জমির ওপর চাপ কমিয়ে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে। তিনি গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনোত্তর দেশের সংকটকালীন মুহুর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি উন্নয়নের যে রূপরেখা প্রদান করেছিলেন তার ফলেই পরবর্তীতে দেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কৃষি ও কৃষিসংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি উৎপাদক, প্রযুক্তি সম্প্রসারণকারী শিল্প ও প্রতিষ্ঠাসমূহের অবদানের প্রশংসা করেন। পরে মন্ত্রী মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, মেলায় ১৬ টি দেশের প্রায় ৬৮৮ টি স্টল রয়েছে।