প্রধান মেনু

মরুর বুকে সবুজের বিপ্লব পাল্টে যাচ্ছে তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা, ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় বিপাকে কৃষকরা

হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি: পাল্টে যাচ্ছে লালমনিরহাটের তিস্তারচরের মানুষের জীবনযাত্রা। ঘুরে দাড়িয়েছে চীরকালের অভাবি মঙ্গা কবলিত চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান। শুস্ক মৌসুমে পানি শুণ্য নদীর বিস্তীর্ণ মরুর বুকে ঘটছে সবুজের বিপ্লব। সেচ প্রদানের মাধ্যমে ভূট্টা চাষ করে স্বাবলম্বি হয়ে উঠছে কৃষকরা। তবে উৎপাদিত ভূট্টার নির্দিষ্ট কোন ক্রয় কেন্দ্র না থাকার কারনে বিপাকে পড়েছেন তারা। পানি শূণ্য তিস্তা। কিন্তু দুপারের চরাঞ্চলে সবুজের সমারোহ শত শত একর জমিতে চর এলাকার স্থানীয় মানুষ আবাদ করেছেন ভূট্টা। আর এই ভূট্টা-ই পাল্টে দিয়েছে এক সময়ের অভাবী কর্মহীন মানুষের জীবন চিত্র।

বালু মাটিতে তামাক ও ভূট্টা ছাড়া অন্যান্য ফসল আবাদ না হওয়ায় বেশী লাভের আশায় ভূট্টা চাষ করেছেন কৃষকরা। তবে উৎপাদিত ভূট্টার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোন ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চর গড্ডিমারী গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র আব্দুর রশিদ(৪৫), বলেন, তিস্তা নদীর ভাংগনের শিকার হয়ে সহায় সম্পদ হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ি। কিন্ত জেগে উঠা চরে ভুট্ট্রা চাষাবাদ আমাদের ভাগ্য বদলে গেছে।

তবে স্থানীয়ভাবে ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় ভুট্ট্রার ন্যায্য মূল্য পায়না তারা। এছাড়া তিস্তার বামতীরে বাঁধ হলে চরে আরো অনেক কৃষি জমি জাগবে বলে দাবী তাদের। সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র মনিরুল ইসলাম(২৮) ও জহর উদ্দিনের স্ত্রী কোহিনুর (৪০) একই অভিমত ব্যক্ত করে জানান, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ভুট্টা চাষ করছি আমরা কিন্তু লাভবান হচ্ছে মধ্য সত্যভূগীরা। আমাদের উৎপাদিত ভূট্টা নির্দিষ্ট ক্রয় কেন্দ্র না থাকার কারনে নিরুপায় হয়ে তাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।এছাড়া তিস্তার বামতীরে নির্মিত বাঁধটি সম্প্রসারিত হলে আরো কৃষি জমি বাড়বে। তাই এ নদীর বামতীরে বাঁধ সময়ের দাবী। লালমনিরহাট জেলায় মোট ২৯ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ হয়েছে।

তিস্তার চরাঞ্চলে এবার ভূট্টা চাষ হয়েছে ১৬ হাজার ৬’ হেক্টর জমিতে। জেলার পাচঁ উপজেলার সমতল জমিতে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ভূট্টাচাষ করেছে কৃষকরা। উৎপাদিত এসব জমি থেকে চলতি মৌসমে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশী ভূট্টা পাওয়া যাবে, আশা করছে কৃষি বিভাগ।উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা আনোয়ার হোসেন বলেন,এবার জেলায় সবচেয়ে বেশি হাতীবান্ধা উপজেলায় ১২ হাজার ৮শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে ভুট্ট্রা চাষ হচ্ছে। গত বছর ছিল ১০ হাজার ২০ হেক্টর। যা গত বছরের চেয়ে এবারের ভুট্ট্রার চাষাবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ শ’ হেক্টর কৃষি জমি।