ভ্রাম্যমান আদালতে মাংস ব্যবসায়ীর জেল
হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অন্যত্র থেকে মাংস এনে বিক্রির দায়ে নজরুল ইসলাম (২৮) নামে ১ ব্যবসায়ীকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার সকালে উপজেলার দিঘীরহাট এলাকায় এ রায় দেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ইউএনও সামিউল আমিন। সাজাপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম জেলার পাটগ্রাম উপজেলার আব্দুর রহমানের পুত্র বলে জানা গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, চামড়া রক্ষায় ও পাচারের ঝামেলা এড়াতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জীবিত গরু পাচার কমিয়ে গরুর মাংস পাচারের অভিনব কৌশল গ্রহন করেছেন। তারা ভারতের অভ্যন্তরে দিনে গরু জবাই করে মাংস বস্তায় ভরে রাতের আঁধারে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা এলাকা দিয়ে পাচার করছে। এরপর পিকআপ ভ্যানে করে পরদিন জেলার বিভিন্ন বাজারসহ রাজধানী ঢাকাতেও চলে যাচ্ছে এসব বাসি মাংস। যা স্থানীয় বাজারের চেয়ে কেজি প্রতি ৭০/৮০ টাকা কমে বিক্রি করছে চক্রটি। কম দাম পেয়ে এসব মাংস কিনছেন সাধারণ ক্রেতাসহ হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন পুলিশ নিয়ে উপজেলার দিঘীরহাট এলাকায় মাংসের দোকানে অভিযান চালান।
এ সময় পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ১ মাংস ব্যবসায়ীকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেনএবং জব্দকৃত মাংসগুলো মাটিতে পুতে রাখেন। হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সনদমূলে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করে তবেই মাংস বাজারে বিক্রি করতে হবে। পিকআপ ভ্যানে মাংস নিয়ে আসা বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।