প্রধান মেনু

ভিয়েতনামে মহান শহিদ দিবস ও অন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৯ উদযাপন

হ্যানয়, ভিয়েতনাম, ২১ ফেব্রুয়ারি : হ্যানয়, ভিয়েতনাম ২১ শে বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনামে মহান শহিদ দিবস ও অন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০১৯ যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিশে^র বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী কবিদের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপনের অংশ হিসেবে এক বিশেষ কবিতা পাঠের আসর আয়োজন করা হয়।

ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ সকালে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মচারীরা এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য অতিথিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে স্থানীয় অভিজাত মিলিয়া হোটেলে শহিদ দিবসের তাৎপর্য্য উল্লেখ করে এক বিশেষ কবিতা পাঠের আসর ও মধ্যহু ভোজের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিরা, ভিয়েতনামের ডিপ্লোমেটিক কোরের ভাইস-ডিন (প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত), ভারত, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং ইতালির রাষ্ট্রদূত/প্রতিনিধিবৃন্দ, ভিয়েতনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তা, ভিয়েতনামের একমাত্র ইংরেজি দৈনিক ভিয়েতনাম  নিউজের প্রতিনিধি,ভিয়েতনাম টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধি ও অন্যান্য মিডিয়া, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা এবং ইউনেস্কো কর্তৃক মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা করে এসডিজি বাস্তবায়নে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।

ডিপ্লোমেটিক কোরের ভাইস ডিন তাঁর বক্তব্যে মাতৃভাষার জন্য বাংলাদেশের অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন তাৎপর্য তুলে ধরেন। ভাষা শহিদদের ওপর
নির্মিত দু’টি প্রামাণ্য চিত্র এ সময় প্রদর্শন করা হয়। পরিশেষে, কবিতা পাঠ আসরে বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে আগত নয়জন কবি (Manfred Chobot (অষ্ট্রিয়া), Dr. Sudipto Chatterjee (ভারত), Bengt Berg(সুইডেন), Gabriel Franco (কলমম্বিয়া), Satkani Ghosh (ইন্ডিয়া), Jose Muchnik (ফ্রান্স), Biplab Majee (ভারত), Fernando Randon (কলোম্ভিয়া) ও Aminur Rahman (বাংলাদেশ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তাঁদের নিজ নিজ ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করেন।

অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে বাংলাদেশি খাবার সহকারে মধ্যাহু ভোজে আপ্যায়িত করা হয় ।