ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির সাথে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজের বিদায়ী সাক্ষাৎ
ভিয়েতনাম, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট): ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি Vo Van Thuong-এর সাথে সেদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ গতকাল এক বিদায়ি সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতি বিদায়ি রাষ্ট্রদূতকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে স্বাগত জানিয়ে ভিয়েতনামে দীর্ঘ ৬ বছর সফলভাবে কূটনৈতিক মিশন শেষ করার জন্য অভিনন্দন জানান এবং সে সাথে এই দীর্ঘ সময়ের কাজ এবং তার অবদানকে স্মরণ করেন। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশংসা করেন।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিবাদন জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবার রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছেন। রাষ্ট্রদূত ভিয়েতনামের আর্থ-সামাজিক ও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির অভিবাদন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতিকে জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত ভিয়েতনামকে আসিয়ানের সদস্য হিসেবে এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটির নেতৃস্থানীয় এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করায় আনন্দিত বোধ করেন। এ বছর বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির বছর এবং এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম ঐতিহাসিক এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক মিল রয়েছে। উভয় দেশ মানবসম্পদে সমৃদ্ধ এবং এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে বিশেষ করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অসাধারণ অর্জন ও অগ্রগতির বিশেষ প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, বিগত ১০ বছরে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজের সফল ৬ বছরের কর্মকালে এ পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে আনন্দিত এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ।
রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতিকে তার সদয় বাক্য এবং বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের প্রতি অভিবাদন জ্ঞাপন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভিয়েতনামের মহান নেতা প্রেসিডেন্ট হো চি মিনকে স্মরণ করে বলেন, উভয় নেতাই দেশ ও জাতির জন্য তাঁদের সারাজীবন উৎসর্গ করেছেন।